1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মঠবাড়িয়ায় মেয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে কাফনের কাপড় জড়িয়ে বাবার অনশন কাউখালী মহিলা ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা ইন্দুরকানিতে বিয়ের দাবিতে ৯ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে হিন্দু তরুনীর অনশন গজারিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান শিক্ষকদের কর্মবিরতি গলাচিপায় ১৯৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৮ হাজার শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস উপলক্ষে তারাকান্দা র‌্যালি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফুলপুরে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা রকিবুল হাসানের মতবিনিময় কাউখালীতে গ্রীন ফোর্সের ‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ফুলপুরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাবেক এমপি আবুল বাশার আকন্দ যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে আমরা নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবো- হাসান মামুন

কাউখালীতে ডিএনএ টেস্টের জন্য দ্বিতীয়বার ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের কাউখালীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম এবং গুপ্ত হত্যার শিকার ব্যবসায়ী নাজমুল হক মুরাদের সঠিক পরিচয় নির্ধারণ করতে কবর থেকে দ্বিতীয়বার লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে কাউখালীর পার সাতুরিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মৃত্যুর ১৪ বছর পর দ্বিতীয়বার মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুম কমিশনের সদস্য মানবাধিকার কর্মী নূর খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বজল মোল্লা। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কার্যালয় থেকে অনুরোধের প্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান গত ১৫ জুলাই এ আদেশ দেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ পালনে কাউখালী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত দেবনাথ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসতিয়াক আহমেদ, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলায়মান, অভিযোগ কারি মুরাদের ভাই মিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেন।জানা গেছে, একটি হত্যা মামলার আসামি কাউখালীর ব্যবসায়ী নাজমুল হক মুরাদ,রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠী গ্রামের মিজান জোমাদ্দার ও ফোরকানকে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা থেকে র‌্যাব পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। এরপরে তাদের কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। ১০ দিন পরে ২৭ এপ্রিল ঢাকার তুরাগ তীরে বালুর নিচ থেকে বস্তাবন্দি তিন যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে তিন জনের পরিবার তাদের লাশ শনাক্ত করে প্রত্যেকের বাড়িতে দাফন করে। তারা কাউখালীতে আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদ হত্যা মামলায় গুপ্ত হত্যায় নিহত মিজান ও মুরাদ আসামি থাকায় মামলার বাদী নিহত দুই আসামির ডিএনএ টেস্টের আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মস্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালতের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট এ কে এম এনামুল হক ২০১১ সালের জুন মাসে তাদের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন। ২০১১ সালের ০৪ জুলাই কাউখালীর পার সাতুরিয়া গ্রামে নাজমুল হক মুরাদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে লাশের দাতসহ বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। পরে ডিএনএ টেস্টে কাউখালীতে দাফন করা লাশ মুরাদের নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি আ. রাজ্জাক।মামলায় মিজান ও মুরাদকে জীবিত দেখিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছর পর ছোট ভাই নাজমুল হক মুরাদের সঠিক সন্ধান এবং তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি নিকট আবেদন করেন তার মেঝো ভাই মিরাজুল হক লিপু। পরে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল গুম সংক্রান্ত কমিশনের দু’জন সদস্য কাউখালীতে আসেন। তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘটনার বিবরণ শুনে মুরাদের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓