1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‎ঝালকাঠিতে ‘জুলাই শহিদ ও সম্মুখযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা’ অনুষ্ঠিত ‎ ‎ কাউখালীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপি জামায়াতের বিজয় মিছিল সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, আগে নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করুন: মাসুদ সাইদী ‎ গনঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঠবাড়িয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র উদ্যোগে বিজয় র‍্যালি ও আলোচনা গলাচিপা উপজেলার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে-২৪ এ নিহত শহীদদের প্রতি উপজেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি চেক জালিয়াতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু গ্রেফতার নেছারাবাদে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঝুলছে বঙ্গবন্ধুর ছবি, বিএনপি নেতাদের ক্ষোভ কাউখালীর দাশেরকাঠী মোকারমিয়া হেফজ মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের বিদায় ও ছবক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পটুয়াখালী-৩ আসনের ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত গলাচিপায় দেশীয় মাছ রক্ষার্থে বিশেষ অভিযান

ফুলপুরে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা আজ হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।৯ ডিসেম্বর, ফুলপুর হানাদার মুক্ত দিবস।১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা।মহান মুক্তিযুদ্ধে ফুলপুর ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের লুটপাট অগ্নিসংযোগ, নৃশংস হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত।১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়ে এ উপজেলায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। যুদ্ধের মহাসংকট থেকে মুক্ত হয় উপজেলাবাসী।জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর বাখাই মধ্যনগর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।সম্মুখযুদ্ধে তারাকান্দার স্বল্পা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে নিরীহ মানুষকে বাঁচান। এক পর্যায়ে তিনি এ যুদ্ধে শহীদ হন।এতে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় একজন মেজরসহ ১৫ জন নিহত হয়।মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে ফুলপুর হানাদার মুক্ত হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত সরচাপুর বধ্যভূমির টর্চার সেলে নিত্যদিন সন্ধ্যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরপরাধ অসংখ্য মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে বেয়নেট চার্জ করে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার পর লাশ কংস নদীতে ভাসিয়ে দিত। এছাড়া সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলা থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পিছু হটার পথে মধ্যনগরে মিত্রবাহিনীর সাথে প্রচণ্ড সম্মুখযুদ্ধে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ২ জন মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হন।এ সময় কয়েকজন গ্রামবাসিও প্রাণ হারান।এলাকাবাসি ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ২ জন মিত্রবাহিনীর লাশ একই কবরে শায়িত করে।পরে মিত্রবাহিনীর শহীদ ২ সদস্যের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে দাহ করা হয়।এই বাখাই মধ্যনগরের যুদ্ধেই পতন ঘটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এবং ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়।পরে ৯ ডিসেম্বর ভোরের সোনালী সূর্য উদয়ের সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধারা ফুলপুরকে মুক্ত দিবস ঘোষণা করে এই দিনে ফুলপুর থানায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।এর ন্যায় প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর ফুলপুরকে মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়।ফুলপুর মুক্ত দিবস হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রেরণার উৎস। এটাই এখানকার মুক্তিকামী জনগণের প্রত্যাশা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓