পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় বারের মতো বন্ধ হবার উপক্রম হচ্ছে। এক বছরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ২% কাজ করায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পরিদর্শন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ না করলে তাদের কার্যাদেশ বাতিলের সুপারিশ করেন। জানা যায়, ২৪ জুলাই, ২০২২ তারিখ মের্সাস কহিনুর এন্টারপ্রাইজ দাদপুর লজ কাউনিয়া সদর, বরিশালের অনুকুলে এইচইডি প্রধান কার্যালয় হতে কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয় এবং কাজ সমাপ্তির সময় ২৩ শে জুন ২০২৩ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। অথচ কার্যাদেশ প্রদানের দশ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ২% কাজের অগ্রগতি হওয়ায় গত ৩১ মে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির উন্নয়ন কাজ সরোজমিন পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন। কাজের সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি ১ জুন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে কার্যাদেশ বাতিলের সুপারিশ করেন । হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পুরান ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে ৩১ শর্য্যা থাকে ৫০ শর্য্যায় উন্নিত করণের জন্য প্রথমে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। কার্যাদেশ পেয়ে নতুন ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেন বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস নূর ই এন্টার প্রাইজ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ২ বছর পর আশিংক কাজ করে বাকি কাজ ফেলে পালিয়ে যায়। ২০১৪ সালে ২৫ জুন কর্তৃপক্ষ মের্সাস নুরই এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করেন। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর পর্যন্ত চিঠি চালাচালিতে সময় কেটে যায়। পরে কাউখালীবাসী বিভিন্ন সময় মানববন্ধন,স্মারকলিপিসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দেন-দরবার করার ফলে পুনরায় ২৪ জুলাই, ২০২২তারিখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস কহিনুর এন্টারপ্রাইজ ৬তলা বিশিষ্ট মূল ভবন ১০ ইউনিটের অত্যাধুনিক ডরমেটরি ভবন, সেবিকা কোয়াটার,গ্যারেজ,স্টোর সহ প্রয়োজনীয় সকল ভবন নির্মানের জন্য ২৫ কোটি ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দের কার্যাদেশ পেয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এক বছরের মধ্যে ভবনটি নির্মান করার কথা থাকলেও বছর শেষে মাত্র ২% কাজ করায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ সরেজমিনে পরিদর্শন করে কার্যাদেশ বাতিল করার সুপারিশ করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুজন সাহা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন না থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায় কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ হয়েছে মাত্র ২%। কাজের বিলম্ব ও ধীরগতির বিষয় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার স্বপন বলেন পুরাতন ভবন অপসারণ করে ওই জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরান ভবনটি অপসারণ করায় কিছুটা বিলম্ব হওয়ার কারণে নতুন ভবনের কাজে বিলম্ব হয়েছে।তবে বর্তমানে সময় বর্ধিতকরণের আবেদন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করা হবে।