পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহের নিগার সুলতানার মাথায় ছাতা ধরলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন শুকুর। এমনই একটি ছবি কাউখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তার সামাজিক যোগাযোগ মধ্য ফেইসবুক আইডি দিয়ে ওই ছবি পোষ্ট করলে কাউখালীতে ব্যাপক অলোড়ন সৃষ্ঠি হয়। ভাইরাল হয়ে যায় ওই ছবি। বুধবার দুপুরে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহের নিগার সুলতানা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনের নির্মানাধীন রাস্তার কাজ দেখতে যান। এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মাঝে ইউএনও’র মাথায় ছাতা ধরা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন শুকুর। ওই ছবি ফেসবুকে ভাইলাল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ওই ছবি তার ফেইসবুক আইডি থেকে ডিলিট করেদেন। কিন্তু তার আগে সকলেই ওই আইডি থেকে ছাড়া ছবি স্কীনশর্টদিয়ে রেখে দিয়েছেন।এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন শুকুরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ইউএনও ম্যাডামের ড্রাইভার আমার হাতে ছাতাটা দিয়ে বলেন, চাচা ধরেন। আমি তা ধরে রেখেছি। সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে আমার দ্বন্দ্ব আছে তাই তিনি ওই ছবি তুলে ফেইসবুকে দিয়েছেন।এবিষয়ে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইউএনও মহোদয় রাস্তার কাজ দেখতে গিয়েছেন আমরাও তখন তার সাথে ছিলাম। সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলী ভাই ছিলেন। সেই ছবি ফেসবুকে দিয়েছি। আমার সাথে মুক্তিযোদ্ধা শুকুর সাহেবের কোন দ্বন্দ্ব নেই।ওই ছবিতে থাকা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন বলেন, ইউএনও সাহেব রাস্তা নির্মানের কাজ দেখতে গেলে আমরা তার সাথে ছিলাম। শুকুর ছাতা ধরা কিনা তাও আমি খেয়াল করিনি। আমি টাস মোবাইল চালাই না মেয়েরা ছবি দেখে আমার কাছে জানতে চায় ঘটনাটা কি? ওদের মাধ্যমে ছবি দেখে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহের নিগার সুলতানা বলেন, ঘটনাটি অসচেতন ভাবে ঘটেছে। প্রচন্ড রোদের মধ্যে আমার ড্রাইভার ছাতা ধরা ছিল। কখন তা মুক্তিযোদ্ধার হাতে দিয়েছে তা আমি খেয়াল করতে পারিনি।