প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে পিরোজপুরের কাউখালীতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে নেত্রী’র সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে অলোচনা সভা,দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।বৃহস্পতিবার(২০ জুলাই)বিকেলে ৪ টায় কাউখালী উপজেলা ইউসিসিএ লিঃ এর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক উত্তম কুমার শীলের সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল আহম্মেদ রুবেল, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম ছোট্ট,মোঃ আরিফুর রহমান সোহাগ,মোঃ সবুর খান,মোঃ শাহ আলম,মোঃ আজাদ তালুকদার,শুভ রায়,সাজ্জাদ হোসেন,মোঃ ফাহিম হোসেন,রাহুল দাস ঝন্টু।এসময় কাউখালী উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,মিথ্যা-বানোয়াট,হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন থেকে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে। এরপর দীর্ঘদিন জাতীয় সংসদ এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাবজেলে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কারা অভ্যন্তরে তাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিল।কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনো মাথা নত করেননি।তিনি কখনো ক্ষমতার জন্যে রাজনীতি করেন না,রাজনীতি করেন জনগণের জন্যে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন,বঙ্গবন্ধুকন্যার আপসহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তি পেয়েই শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনাও টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থ বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।