বরগুনার তালতলীতে তামাতুটিলায় মুজিবকিল্লা ভবন নির্মান সম্পন্ন হলেও হস্তান্তরের আগেই ভবনের দক্ষিণ পশ্চিম কোনসহ ভিতরে ও বাহিরের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। অন্যদিকে ভবন উদ্বোধন না হলেও গত বছরের ১৩ অক্টোবরের তারিখ উল্লেখ করে মুলসেটের পাশেই ভবনটি উদ্বোধন হয়েছে এমন সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন ঠিকাদার। জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তালতলী, মালিপাড়া ও তুলাতলী (তামাতু) গ্রামে নির্মিত মুজিবকিল্লা ভবন নির্মান করেন পটুয়াখালীর সোনালী ট্রেডার্সের মালিক সঞ্জয় কুমার কর্মকার। ভবনটি নির্মান করা সম্পন্ন হলেও ভবনে ফাটল ধরায় অভিযোগ হওয়ার কারনে হস্তান্তর করতে পারেনি। এ ছাড়াও তামাতুটিলার চতুর্দিকে করা সিসি ব্লক দেবে গেছে। ১৯৯৫ সালে উপজেলার তালতলী, মালিপাড়া ও তুলাতলী এ ৩ গ্রামের প্রথম ৩ অক্ষর দিয়ে গঠিত হয়েছে তামাতু নামের টিলা। এটাও ভুল করে তারা নাম লিখেছেন তামাকুটিলা। এর জবাব কর্তৃপক্ষের কেউ দিতে পারেনি। এ বিষয় সোনালী ট্রেডার্সের মালিক সঞ্জয় কুমার কর্মকার বলেন, ভবনটি এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। যে সব স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে সেগুলো সংস্কার করে ভবনটি হস্তান্তর করা হবে। ভবন নির্মান কাজের পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুহিবুল ইসলাম জানান, আমি এ উপজেলায় সম্প্রতি যোগদান করেছি, কাজের সময় ছিলাম না। মাটি সেটিংয়ের কারনে ভবনে ফাটল ধরতে পারে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ও ইঞ্জিনিয়ারকে ফাটলটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ফাটলে সংস্কার না করা পর্যন্ত ঠিকাদারকে ফাইনাল বিল দেয়া হবেনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, মুজিবকিল্লার ভবন আমাদের কাছে হস্তান্তর করেনি। ফাটল ভবন আমরা বুজেনেবনা এবং ফাইনাল বিল ধরে রাখা হয়েছে ভবন সংস্কার না করে দেয়া পর্যন্ত ফাইনাল বিল দেয়া হবেনা।