1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে নববধূকে হত্যা: নিহতের শরীরে হত্যাকারীর বিকৃত ক্ষোভের চিহ্ন

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রামের উলিপুরের পান্ডুল ইউনিয়নে ঘরে ঢুকে এক নববধূকে হত্যার ঘটনার তিন দিনেও হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। নিহত নববধূর শরীরে আঘাতের ধরন দেখে পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের ধারণা, এক ধরনের ‘প্রতিশোধ স্পৃহা’ কিংবা ‘ক্ষোভ’ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তবে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ ও নিহতের পরিবার। এর আগে রবিবার (১৩ আগস্ট) সকালে পান্ডুল ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের বাবার বাড়ির ঘর থেকে রোকাইয়া আক্তার রিংকি (১৮) নামে ওই নববধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গ্রামের এনজিওকর্মী রেজাউল করিমের মেয়ে তিনি। ছয় মাস আগে উলিপুরের মাঝবিল এলাকার বাসিন্দা এক সেনাসদস্যের সঙ্গে বিয়ে হয় রিংকির। এক সপ্তাহ আগে অসুস্থ দাদিকে দেখতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি এসেছিলেন। প্রত্যন্ত একটি গ্রামে বসতবাড়ির কক্ষে নববধূকে এমন নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার পর পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে নববধূকে ধর্ষণের কোনও আলামত পায়নি পুলিশ। প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী পুলিশ সদস্য ও পরিবারের নারী সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, আঘাতে জর্জরিত করে রিংকির মৃত্যু নিশ্চিত করে হত্যাকারী। তার গলা কেটেই ক্ষান্ত হয়নি, সারা শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অন্তত ১৭টি আঘাত করেছে। ঘাড়ের পাশে অস্ত্র দিয়ে এমনভাবে আঘাত করেছে যা দেখে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা বলছেন, নৃশংসতা এ ঘটনায় ভীষণ রকম ‘ক্ষোভের’ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
রিংকির চাচাতো ভাই ও প্রতিবেশী সাদেক বলেন, ‘রিংকির শরীরে করা প্রতিটি আঘাতই বলে দেয়, রিংকির প্রতি হত্যাকারীর ভীষণ ক্ষোভ ছিল। কিন্তু কার এত ক্ষোভ ছিল, কেনই-বা এভাবে মেয়েটিকে হত্যা করলো তার কোনও কিনারা আমরা এখনও পাচ্ছি না।’
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর ঘর থেকে নিহতের হাতে লেখা ডায়েরি, কয়েকটি চিঠি ও মোবাইল ফোন জব্দ করেছে পুলিশ। নিহত রিংকি কারও ব্যর্থ ও অপূর্ণ প্রেম থেকে ‘ক্ষোভের’ বলি হয়েছেন কিনা সে দিকও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন তরুণকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓