পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ- নির্বাচনে দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের পক্ষপাতিত্ব মুলক আচরন ও সতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন কর্তৃক ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান, নৌকা মার্কার প্রার্থীর কর্মীদের কুপিয়ে আহত এবং বীর নিবাসে হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদ ও ৪ টি ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচন দাবী করে বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। গুয়ারেখা ইউনিয়নের সর্বস্তরের ভোটারবৃন্দের ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। স্বরূপকাঠি- পিরোজপুর সড়কের স্বরূপকাঠি উপজেলা পরিষদ গেট থেকে পৌরসভা ভবনের গেট পর্যন্ত দীর্ঘ ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে ওই ইউনিয়নের সহস্ত্রাধিক নারী পুরুষ ভোটার অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন গত১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত উপ নির্বাচনে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমানের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন। পুলিশের উপস্থিতিতে নির্বাচনে ভোটগ্রহনের আধঘন্টা পুর্বে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমানের কর্মিরা ওই ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমানের বীর নিবাসে হামলা চালিয়ে নৌকা মার্কার তিনজন সমর্থককে কুপিয়ে জখম করে এবং বীর নিবাসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পুরো নির্বাচনে পুলিশ নৌকা মার্কার কর্মিদের কেন্দ্রের কাছে দাড়াতেই দেয়নি। সর্বশেষ ভোটের ফলাফলে বেসরকারীভাবে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমানকে বিজয়ী ঘোষনা করা হলে পুলিশের একজন এএসআই বিজয়ীকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন। মানববন্ধনে ওই ইউনিয়নের রাজেন, হেমায়েত হাওলাদার, নিহার বেপারী, লিপি খানম,খালেদা বেগম ও শাহানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে পুলিশের পক্ষপাতিত্ব মুলক আচরনের চিত্র ফুঠে ওঠে। বক্তারা ভোটের ফলাফল প্রত্যাক্ষান করে ওই ইউনিয়নের ১, ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবী করেন। উল্লেখ্য ওই ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সিকদারের মৃত্যুতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যনের পদটি শুন্য হয়। গত ১৭ জুলাই ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ফারজানা আক্তার ও সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমান ছাড়াও আরও ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।