1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ন

গৌরনদীতে সিজার করতে গিয়ে প্রসূতির মুত্রথলি কেটে ফেলার অভিযোগ

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

সিজার করতে গিয়ে কুলসুম বেগম (২৫) নামের এক প্রসূতির মূত্রথলি কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মূমূর্ষ অবস্থায় প্রসূতি বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গৌরনদী ডক্টরস ক্লিনিক এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসূতির ভাই উপজেলার কটকস্থল গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক রুহুল আমীন অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনের প্রসব বেদনা শুরু হলে গত শনিবার তাকে ডক্টরস ক্লিনিকে নিয়ে আসায় হয়। এসময় সেখানের চিকিৎসক বিপুল বিশ্বাস প্রসূতিকে জরুরি ভাবে সিজার অপারেশন করার পরামর্শ দেন। ওইদিন বিকেল তিনটার দিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ বিপুল বিশ্বাস ও ডিউটি ডাক্তার রামেন্দ্র মজুমদার আমার বোনের সিজার করেন।পরবর্তীতে সে (কুলসুম) গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, সিজার করতে গিয়ে চিকিৎসকরা আমার বোনের মুত্রথলি কেটে ফেলেছে যা বরিশালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর বিষয়টি ধরা পরেছে। তবে নবজাতক মেয়ে সন্তান সুস্থ রয়েছে। রোগিকে বরিশাল পাঠানোর কথা স্বীকার করে এব্যাপারে ডক্টরস্ ক্লিনিক এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ভালো বলতে পারবেন। মুত্রথলি কাটার অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যে ও ভিত্তিহীন দাবী করে ডাঃ বিপুল বিশ্বাস বলেন, প্রসাবের থলি জরায়ুর মুখে ছিলো যা আল্ট্রাসনোগ্রামে ধরা পরেনি। এজন্য সিজার করার পর ব্লাডিং হয়েছে। সিজার করার আগে আল্ট্রাসনোগ্রামে বিষয়টি ধরা পরলে রোগিকে আমরা সিজার করতাম না। রোগি বর্তমানে সুস্থ আছে বলেও তিনি দাবী করেন। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓