পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় হয়রানীমূলক মামলা থেকে পরিত্রানের জন্য মানববন্ধন করেছে একাধিক পরিবার।সোমবার (৯ অক্টোবার) বিকেলে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের মালিয়ার হাট মাঠিভাঙ্গা বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে অংশ নেয়া পরিবারগুলোর অভিযোগ, গৌরীপুর ইউনিয়নের মালিয়ার হাট মাঠিভাঙ্গা গ্রামের ছত্তার মোল্লা ও তার দুই ছেলে মিজান মোল্লা ও মইনুল মোল্লা একটি মামলাবাজ চক্র।এ চক্রটির যোগসাজসে দির্ঘদিন যাবত এলাকার একাধিক পরিবারকে বিভিন্ন প্রকারের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।তাদের এহেন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এ এলাকার বহু পরিবার সর্বসান্ত হয়েছে, অনেক পরিবারের সদস্যরা এখনও রয়েছে জেল হাজতে।ছত্তার মোল্লা ও তার দুই ছেলে মিজান মোল্লা ও মইনুল মোল্লা ভুক্তভোগি পরিবার গুলোকে মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হয়না মামলা নিস্পত্তির কথা বলে তাদের কাছে মোটা আংকের টাকা দাবি করে, আর তাদের দাবিকৃত অর্থ নাদিলে ঐ পরিবারগুলোকে একের পর এক মিথ্যা মামলার আসামি করা সহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।এলাকার নান্না মিয়ার স্ত্রী সিমু বেগম অভিযোগ করেন, আমার স্বামীর নামে ২২টি মামলা দিয়ে বছরের পর বছর জেল খাটাচ্ছে ছত্তার মোল্লা ও তার ছেলেরা। আমি ৪টি সন্তান নিয়ে বেশ কষ্টে দিন পার করছি, এখন আমি সন্তানদের দেখব না স্বামীর পিছনে দৌড়াবো।মানববন্ধনে এ রকম একাধিক ব্যক্তি তাদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেন।এ সময় বক্তব্য রাখেন, গৌরীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মানিক ফকির, ৭ ৮ ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আসমা ইয়াসমিন, মোঃ আবুবকর সিদ্দিক মাষ্টার,রহিমা জেসমিন, খাদিজা বেগম, আনোয়ারা বেগম, রাবেয়া বেগম সহ অনেকে।এ সময় বক্তারা বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এ সকল হয়রানীমূলক মামলা থেকে পরিত্রান এবং মামলাবাজ ছত্তার মোল্লা ও তার দুই ছেলে মিজান মোল্লা ও মইনুল মোল্লা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।এ ব্যপারে ভাণ্ডারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো: সোলাইমান বলেন, আমি এ থানায় সদ্য যোগদান করেছি, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই, তবে উপরস্ত কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।