পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার ১৫৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের বীরত্বের কথা বর্ননা করলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের বীরগাথা প্রকল্পের আওতায় ওইসব মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের কথার চিত্র গ্রহন করেছেন মন্ত্রনালয়ের ৪ কর্মকর্তাসহ ৩০ জনের টিম। ৯,১০ ও ১১ অক্টোবর প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৮ জন চিত্র গ্রাহক ৮ টি ক্যামেরা ও ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে ওই কার্যক্রম পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ছারছীনা ও কুড়িয়ানা সহ যেসব স্থানে পাক হানাদার বাহিনী বেশি হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে সেইসব স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তাদের কন্ঠে বিবরন ও বর্ননা শুনে তা চিত্রায়িত করা হয়।মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের ওই প্রকল্পের কো অর্ডিনেটর মো.আল আমিন মূল কর্যক্রম পরিচালনা করেন। বিশেষ দায়ীত্ব পালন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা খন্দকার মো. সামিউল আলম, মো. আলী রসুল, মো. ইঞ্জামুল হক।এছাড়া মাকসুদা সুলতানা অক্যের পরিচালনায় শীর্ষ চিত্র গ্রাহক মানিক চৌধূরী ও তাঞ্জিম আহমেদ জিয়ার নেতৃত্বে ২৩ জন ক্যামেরাম্যান ও সহযোগী ক্যামেরাম্যানগন অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কার্যক্রম সম্পাদন করেন।উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন ও সাবেক সহকারী কমান্ডার(অর্থ) বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম সার্বিক সহযোগীতা করেন।উল্লেখ্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে জীবিত ২৪৭ জন মুক্তিযোদ্ধাদের ফোনের মাধ্যমে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু ১৫৬ জন তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এলাকায় না থাকায় ও অসুস্থতার কারনে অন্যসব মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত হতে পারেননি।