পিরোজপুরে নাজিরপুরে ১৩৬টি মন্দিরে চলছে দূর্গাপুজার প্রস্ততি।জেলার সবচেয়ে বেশী দুর্গাপূজা হচ্ছে নাজিরপুরে। এ সব পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।শুক্রবার (২০ আক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজা। আর ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দুর্গাপূজার উৎসব শেষ হবে।সরেজমিনে বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, মন্দিগুলোতে প্রতিমা তৈরীর কারিগররা প্রতীমা তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। প্রায় অধিকাংশ স্হানেই প্রতিমা তৈরীর মাটির কাজ শেষ করে এখন চলছে রং এর কাজ। কারিগররা জানান, প্রতিমা তৈরীতে কাঠ, বাঁশ, সুতা, খড়, মাটি সহ বিভিন্ন উপকরন ব্যবহার করা হয়। তবে রংয়ের মাধ্যমে প্রতিমার উজ্জলতা ও সৌন্দর্য ফুটে উঠে।উপজেলার শ্রীরামকাঠী বাজার মন্দিরের কারিগর দুলাল পাল জানান, একটি মন্দির তৈরীতে মাটির কাজ শেষ করার কাজ রংয়ের কাজই প্রধান হিসাবে থাকে।আর রংয়ের মাধ্যমে এর প্রধান সৌন্দর্য ফুটে উঠে।নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার সঞ্জিব দাশ জানান, প্রতিটি মন্দিরে সরকারী অনুদান হিসাবে ৫ শত কেজি করে চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।এ সব চালের সরকারী মূল্য হিসাবে প্রতি মন্দিরে সাড়ে ২২হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে।সরকারী তালিকা অনুযায়ী নাজিরপুরে ১৩৬টি মন্দিরে এ সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।এ ছাড়া তিনি আরো বলেন, আমি নিজে পূজামন্ডপ পরিদর্শন সহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটি মন্দিরের সকল সমস্যার তদারকির জন্য প্রতি ইউনিয়নের একজন করে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।এছাড়া পিরোজপুর-১ আসনের এমপি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে জেলার নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানীতে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে।জেলার নাজিরপুরে সবচেয়ে বেশী পূজা উদযাপন হবার তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মাস্টার সুখরঞ্জন বেপারী।নাজিরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চঞ্চল কান্ত বিশ্বাস জানান, নাজিরপুর উপজেলার ১৩৬টি মন্দিরে পূজা উযাপন হবে।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি মন্দিরে ৩ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমাদের (পূজা উদযাপন পরিষদ) জানানো হয়েছে।নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলার প্রতিটি মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেত পুলিশ সহ আনছার সদস্যরা থাকবেন।এ ছাড়া সার্বক্ষনিক সিসি ক্যামারে দ্বারা মনিটরিং করা হবে।ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে নিরাপত্তার খোঁজ নিচ্ছেন।