পিরোজপুরের কাউখালীতে ওষুধের দোকানে এলার্জির ওষুধ আনতে গিয়ে পল্লী চিকিৎসা মো. আলী হায়দার রোগীকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ইনজেকশন ও ঔষধ দেন।ওই ওষুধ খেয়ে ফল ব্যবসায়ী খোকন সমাদ্দারের জীবন এখন সংকটাপন্ন বলে অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগীর মা এর বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।জানা গেছে, আলী হায়দার একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও ‘হুমায়ুন ওষুধ বিপনী’ নামে একটি ওষুধের ফার্মেসির লাইসেন্স নিয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাঙ্গুলী গ্রামে ওষুধের ব্যবসা করছেন।তিনি একই নামে ও লাইসেন্সে কাউখালী সদরের দক্ষিণ বাজারেও আরো একটি ওষুধের দোকান পরিচালনা করছেন।যা নিয়ম বহিঃভুত।এ ছাড়াও তিনি নিজেকে এলাকায় একজন ডা. পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ বাজারের ফল ব্যবসায়ী খোকন সমাদ্দার আগষ্টের মাঝামাঝি হঠাৎ এলার্জিতে আক্রান্ত হয়।তাই তার মা অলোকা রানী হুমায়ুন ওষুধ বিপনী থেকে এলার্জি ওষুধ আনতে যান।এ সময় দোকানের মালিক আলী হায়দার রোগী খোকনকে সাইনোকোর্ট নামের ইনজেকশনটি এক মাসের মধ্যে ৬ ডোজ পুশ করা সহ আরো ৫ ধরনের ওষুধ দেন।এর পরেও খোকনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হয়ে তার শরীর ফুলে যাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।এলাকাবাসীর পরামর্শে খোকনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডা. দিপ্ত কুন্ডু তাকে পল্লী চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে বরিশাল থেকে ৪টি টেষ্ট করতে বলেন। টেষ্ট করতে যাওয়ার পথে খোকনকে আলী হায়দার বাঁধা দিয়ে বলে ‘সে আমার রোগী আমি দেখবো, কোনো টেষ্টের দরকার নেই।শরীরের সাইনোকর্ট নামক ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে যা মোটেই তার জন্য প্রযোজ্য না বলে জানান চিকিৎসক।ভুক্তভোগী বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ।কিন্তু খোকন বরিশাল থেকে টেষ্ট করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারকে দেখালে জানতে পারেন তাকে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।চিকিৎসক রোগীকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। খোকন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।এ বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ বাজার ব্যবসায়ী সমিতিতেও শালিস বৈঠক হয়।এদিকে অভিযুক্ত মো. আলী হায়দার তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, ‘জুন এর দিকে একটি প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওই ইনজেকশন আমার কাছ থেকে নেন রোগী।পরে সেটি আমি তাকে পুশ করে দিয়েছি।আমি তার কোনো চিকিৎসা করিনি।চিকিৎসক ডা. দিপ্ত কুন্ডু বলেন, ‘খোকন শরীর ফোলা নিয়ে আমার কাছে আসেন।তাকে সাইনোকর্ট নামক ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে যা মোটেই তার জন্য প্রযোজ্য না।অতিরিক্ত ডোজ দেওয়ায় তার শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।কাউখালী থানার ওসি মো. জাকারিয়া হোসেন জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন।তদন্ত চলমান রয়েছে।