1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পিরোজপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত কাউখালীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ীতে সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় স্ত্রী-সন্তান ফুলপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে  আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত ইন্দুরকানীতে আড়াই কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কাউখালীতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে জেলে গ্রেফতার কালীগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা কাউখালীতে শব্দদূষণ বিরোধী অভিযানে জরিমানা আদায় মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ীতে কবর খুঁড়ে ১৪টি কঙ্কাল চুরি জুয়ায় আসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলেন বাবা, ছেলে গ্রেফতার 

মুন্সীগঞ্জে স্বাধীনতার ৫২ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি অবহেলিত ৮ গ্রাম

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জ স্বাধীনতার ৫২ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি অবহেলিত ৮টি গ্রাম।ঝড় তুফান কিংবা যে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ৮ গ্রামের একমাত্র ভরসা রজত রেখা নদীর উপরের একটি ও দুই খালের উপর দুইটি সহ ৩ টি বাঁশের সাকো।দেশ স্বাধীন হলেও পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ এই গ্রাম গুলোর হাজারো বাসিন্দারা।অসুস্থ রোগী বা গর্ভবতি মায়েদের চিকিৎসা নিতে পরতে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।এছাড়াও গ্রামগুলো উৎপাদন কৃত কৃষিপর্ণ্য বাজার যাত করতে পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়।সরোজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা কান্দি ইউনিয়নের ঢালিকান্দি,গাবুয়া ঢালিকান্দি, মোল্লাবাড়ি,লক্ষিদিবি,কংসপুরা,খাসমোল্লাকান্দি,নোয়াদ্ধা সহ ৮ টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসিদের।এসব গ্রামগুলো থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম ঢালিকান্দি থেকে রজত রেখা নদীর উপরের একটি বাঁশের সাকো ও একই সড়কে শনিবাড়ি মোড় সংলগ্ন ছোট্ট খালের উপর একটি বাঁশের সাকো।এছাড়াও অপর সাকোটি ঢালিকান্দি থেকে লক্ষীদিবি ছোট্ট একটি খালের উপর স্থাপন করা সহ মোট ৩ টি বাঁশের সাকো।এছাড়া গ্রাম গুলোর ভিতরেও পায়ে হাটা কাচা সড়ক ছাড়া কোন পাকা সড়কের অস্তিত্ব নেই।একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বেসরকারি বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা সহ দুটি গুচ্ছো গ্রাম রয়েছে গ্রামগুলোতে। প্রতিনিয়ত ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রজত রেখা নদীর উপর দিয়ে বাঁশের সাকো পাড় হয়ে যেতে হয় স্কুল,মাদ্রাসা বা কলেজে।এছাড়াও বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগী বা গর্ভবতি মায়েদের চিকিৎসা নিতে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।তাছাড়া গ্রামগুলো উৎপাদন কৃত কৃষিপর্ণ্য আনা নেয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় কৃষি কাজে আগ্র হারাচ্ছে কৃষকরা।প্রতি ৩ মাস পর পর প্রবাসিদের পাঠানো আর্থিক সহযোগিতা ও গ্রামের প্রতিটি ঘর থেকে উত্তোলনকৃত টাকা দিয়ে সংস্কার করা হয় সাকো গুলো।গ্রামগুলোতে হাজারো বাসিন্দাদের বসবাস হলেও স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আলোর মুখ দেখেনি তারা। অভিযোগ রয়েছে জাতীয় সংসদ,উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসলে নেতার গ্রাম গুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রতিশ্রতি দিলেও নির্বাচন শেষে কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এগিয়ে আসেনা। এছাড়াও গত ৪ বছর পূর্বে কাচা সড়ক সংস্কারে স্থানীয় সাংসদ অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দিলে সেই টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা নিজের কাছে রেখেন দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ঢালি৷পরে তার থেকে রেখে দেয়া টাকা চাইতে গেলে মারামারির ঘটনাও ঘটান ওই ইউপি সদস্য এমন দাবী স্থানীয়দের।এ যেন আলোর নিচে অন্ধকারের মত অবস্থা।ভেড়া কাছে ক্ষেত পাহার দিতে গিয়ে এখন বেড়াই ক্ষেত খেয়ে ফেলার দশা এমন মন্তব্য করে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, স্বাধীনতার এত বছরের আমরা সকল সুবিদা থেকে বঞ্চিত।আমাদের অবহেলিত এসব গ্রাম থেকে বের হওয়ারও কোন রাস্তা নেই।নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা শুধু প্রতিশ্রুতি দেয় কাজের কাজ কেউ করেনা।এছাড়াও সড়ক স্ংস্কারে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ এনে ইউপি সদস্যের মেজবাহ উদ্দিন ঢালির প্রতিক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, আমাদের উপর কেউ এগিয়ে না আসলেও ক্ষতিকরার ইচ্ছা রয়েছে অনেকের।স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল গাজী বলেন,আমরা এই গ্রাম গুলোতে বন্দি হয়ে আছি।রজত রেখা নদীর উপর দিয়ে একটি ব্রীজ ও শনিবাড়ি সংলগ্ন একটি খালের উপর একটি কালভার্ট নির্মান হলে এসব গ্রাম গুলো মানুষের দূভোগ কমে যেত।কিন্তু সবাই শুধু প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু গ্রাম গুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা তরান্বিত করার লক্ষে কেউ এগিয়ে আসেনা।গ্রাম গুলোতে একটি পাকা রাস্তাও নেই।আজিজ মোল্লা নামের এক বাসিন্দা বলেন,যোগাযোগ ব্যবস্থার না থাকার কারনে একপ্রকার জিম্মি হয়ে আছি।কেউ অসুস্থ হলে বা গর্ভবতি মায়েদের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে পারিনা।কারন ঝুঁকি নিয়ে বড়বড় বাঁশের সাকো পার হয়ে চিকিৎসা নিতে যাও আর যুদ্ধ জয় করা একই কথা।এছাড়াও স্থানীয় এক নারী জানান,ছোট ছোট শিশুদের স্কুলে বা কোথাও পাঠাতে পারিনা।এই সাকোর জন্য সব সময় সন্তানদের নিয়ে চরম আতঙ্কে থাকতে হয়।এর আগেও একাধিক বার এই সাকো থেকে শিশু ও বৃদ্ধ রা পরে গিয়ে আহত হয়েছে।তাই অতিদ্রুত বাঁশের সাকো গুলো অপশারন করে স্থায়ী পাকা সেতু ও কালভার্ট নির্মান হলে আমাদের কষ্ট কমে আসবে।তবে টাকা আত্মসাৎতের বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ঢালির সাথে দুইদিন একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।অবহেলিত গ্রাম গুলো কথা শিকার করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রিপন পাটোয়ারীর বলেন,আমি মৌখিক ও লিখিত ভাবে সরকারে বিভিন্ন দপ্তরে অবহেলিত গ্রাম গুলোর বিষয় তুলে ধরেছি।কিন্তু কোন সহযোগিতা পাচ্ছিনা।ফলে আধুনিক যুগেও পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রয়ে যাচ্ছে এসব গ্রামের হাজারো বাসিন্দারা।তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে দ্রুত আলোচনা করে মানুষের ভোগান্তি কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খান।আর আশ্বাস নয় অতিদ্রুত রজত রেখা নদীর উপর একটি পাকা সেতু ও শনিবাড়ি মোড় সংলগ্ন খালে এবং ঢালিকান্দি থেকে লক্ষীদিবি পাড়াপাড়ের খালে একটি সহ দুটি কালভর্ট নির্মানের মাধ্যমে অবহেলিত এই গ্রাম গুলোর যোগাযোগ উন্নয়ন তরান্বিত করার জোরালো দাবী স্থানীয়দের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓