1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মঠবাড়িয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ভোট কেন্দ্র প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত গজারিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এর আহবায়ক কমিটি ঘোষণা মুন্সিগঞ্জ পদ্মায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে কারাদণ্ড ইন্দুরকানীতে সাংবাদিক সঙ্গে মতবিনিময় করলেন ব্যারিস্টার মোস্তফা জোবায়ের হায়দার ‎পিরোজপুরে পুরাতন জামে মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন গজারিয়া বসুন্ধরা টিস্যু পেপার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড কাউখালীতে গৃহবধূকে যৌন হয়রানির দায়ে অটোচালককে তিন মাসের কারাদণ্ড গজারিয়া ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব কে সংবর্ধনা গজারিয়া পুনরায় সংবাদ সম্মেলন করে নিজের ভুল স্বীকার গজারিয়া বৃক্ষ রোপণ ও কেক কেটে সভ্যতার আলো’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে হারিয়ে যাচ্ছে কাউখালীর বধ্যভূমি

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

সংরক্ষণের অভাব আর নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাচ্ছে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ উৎসর্গকারী পিরোজপুরের কাউখালীর শহীদের স্মৃতিবহনকারী বধ্যভূমি।দেশ স্বাধীনের বায়ান্ন বছর পরও হানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের সাক্ষ্য বহনকারী বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।সূত্রে জানাযায়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী কাউখালী শহরের সন্ধ্যা নদীর তীরে পাইলট হাউসে (বর্তমান লঞ্চঘাট) টর্চার সেল স্থাপন করে।এখানে শত শত মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে নৃশংস নির্যাতনে হত্যার পর লাশ সন্ধ্যা নদীর তীরে ফেলে দেয়।জনশ্রুতি আছে এখানে ৪-৫ শ মুক্তিকামী নারী-পুরুষকে হত্যা করা হয়। একাত্তরের ২২ মে লঞ্চঘাটে পিরোজপুর কলেজের ছাত্র মোক্তাদিরুল ইসলামকে হাত-পা ভেঙে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।সেখানে একদিনে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সুভাষ চন্দ্র দত্ত ও কালু মহাজনসহ আওয়ামীলীগের ৫ জনকে।স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদের স্মৃতিবহনকারী লঞ্চঘাট এলাকায় বধ্যভূমির স্হান চিহ্নিত করে উপজেলা পরিষদ থেকে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়। আজ সেই স্মৃতিস্তম্ভটি সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনের বিলীনের পথে।মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন তালুকদার বলেন, কাউখালী লঞ্চঘাটের সন্ধ্যা নদীর তীরে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদের স্মৃতিবহনকারী বধ্যভূমি সংরক্ষণের অভাবে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাচ্ছে।বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা জানান, বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর।ইতোমধ্যেই কাউখালীর বধ্যভূমি চিহ্নিত করে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।বধ্যভূমিটি লঞ্চঘাট এলাকার সন্ধ্যা নদীর তীরে অবস্হিত হওয়ায় স্মৃতিস্তম্ভটি নদী ভাঙ্গনের কেবল রয়েছে।বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভটি নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓