অনলাইন ডেস্ক :
পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা’র দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবীরের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে ১২ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। সোমবার (২২ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে চারটায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো: হামিদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিখোঁজ হুমায়ুন কবির পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।স্ত্রী রোজিনা বেগম একজন গৃহিনী।তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কণ্যা কামরুন্নাহার কলি একাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।মেঝো মেয়ে নুরে জান্নাত স্নেহা দশম শ্রেণীর ছাত্রী এবং একমাত্র ছেলে ইয়াসিন আরাফাত পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন পাটুরিয়া আঞ্চলিক শাখা কমিটির সভাপতি ছিলেন।তিনি ২০১১ সালে চাকুরীতে যোগদান করেন।সর্বশেষ দুই মাস আগে তিনি তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মাটি ভাঙ্গা গ্রামে গিয়েছিলেন বলে জানান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।