কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের কাউখালীতে খালে মরা মুরগী ফেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আঃ রব হাওলাদার (৫২) নামে এক ব্যাক্তি নিহত অপর ৮ জন আহত হয়েছে।রবিবার (২ জুন) সকাল ১১ টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রব হাওলাদার মারা যান।নিহত আঃ রব হাওলাদার উপজেলার উত্তর নিলতী গ্রামের মৃত মকবুল হাওলাদারের ছেলে।জানা গেছে, শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর নিলতী গ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আক্রান্ত মারা মুরগী খালে ফেলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে এক জন নিহত সহ উভয় পক্ষের আরও ৮ জন আহত হন।প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালে আক্রান্ত হয়ে উপজেলার চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর নিলতী গ্রামের সঞ্জয় ঘোষের মুরগীর ফার্মের কিছু মুরগী মারা যায়।সঞ্জয় তার ফার্মের ওই মারা মুরগী গুলো বস্তায় ভরে শনিবার দুপুরের দিকে নিহতের বাড়ির সামনের নিলতী খালে ফেলে দেয়।এ বিষয়ে নিহতের ভাবি খাদিজা বেগম বিকেলে সঞ্জয়ের কাছে মরা মুরগী গুলো খালে ফেললার কারন জানতে চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।নিহতের ভাবি খাদিজা বেগম এলাকার সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার।বিষয়টি খাদিজা বেগম তার ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি সবাইকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন। পরে তারা চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়ার পথে সঞ্জয় ঘোষ ও সুলায়মান সরদার সহ বেশ কয়েকজন তাদের লাঠি দিয়ে নিহত রব হাওলাদার ও মুজিব হাওলাদারের উপর হামলা চালায়।এসময় হামলাকারীরা নিহত রবকে পাশের কমল পাটিকরের বসত ঘরে টেনে নিয়ে মারধর করে। এ সময় তাদের ডাক চিৎকারের রব হাওলাদার ও মুজিব হাওলাদারের পরিবারের লোকজন এস প্রতিক্ষকদের উপর উপর হামলা চালায়।এতে উভয় পক্ষের ৮জন আহত হন। স্থানীয়রা গুরতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিঃসার জন্য নিয়ে যান।অপর আহতরা হলেন মুজিব হাওলাদার (৫৫), সেলিম হাওলাদার (৪০), আশিক হাওলাদার (১৭), সঞ্জীব চন্দ্র ঘোঘ (৩২), সঞ্চয় ঘোঘ(৪০), আলিম হাওলাদার (৪৫), লিমন হাওলাদার, সুলায়মান সরদার।কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ডাঃ দিপ্ত কুন্ডু জানান, গুরুতর আহত রব হাওলাদারকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।রবিবার ১১ টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে শুনেছি।কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি মামলা প্রক্রিয়ধীন আছে।আর এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।