নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজকে র্যাব ১০ গ্রেফতার করেছে। ঢাকার রাজধানী বংশাল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এক ছাত্র নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা তাকে গ্রেফতার করা হয়।এ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি হচ্ছেন তিনি। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে অর্থের জোগানদাতা ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব ১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার।তিনি জানান, গত ৪ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বংশালের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রছাত্রীরা শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করছিল।এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বেশ কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, রাম-দা, চাপাতি, হকি স্টিক এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।তাপস কর্মকার আরো জানান, পরের দিন তারই অংশ হিসেবে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এক নিরীহ ছাত্রকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর বংশাল থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলায় সিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিরাজ ঢাকার বাদামতলী ও বংশাল এলাকায় ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনের জন্য আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের অর্থের জোগানদাতা ছিলেন। এ ছাড়া নিরীহ ছাত্রকে হত্যার অন্যতম আসামি হচ্ছেন তিনি। মামলার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন সিরাজ।এ ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছেন সিরাজ। এ ছাড়া রাজধানীর বংশাল এবং সাতক্ষীরা সদর থানায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।বজ্রযোগিনী ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তোতা মুন্সী মারা গেলে সিরাজুল ইসলাম উপ নির্বাচনে এখানে বিজয়ী হন। তোতা মুন্সী বজ্রযোগিনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি এখানে একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। ধনকুবের মালিক সিরাজুল ইসলাম রাতারাতি আওয়ামীলীগে যোগদান করে নৌকা প্রতীক নিয়ে এখানে নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি বাদামতলীতে ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।