1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেড় লাখ টাকায় সুইচগিয়ার সহ আটককৃতদের ছেড়ে দিল শ্রীনগর থানা পুলিশ পিয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন গজারিয়া পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে মারধর, মোটরসাইকেলে আগুন পিরোজপুর জেলা লেবার পার্টির সমন্বয়কের দায়িত্ব পেলেন মোঃ ইলিয়াস হোসেন মাঝি পিরোজপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মুন্সিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির ঈদ পরবর্তী সাংগঠনিক সভা গজারিয়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে সেনাবাহিনীর অভিযান পিরোজপুরে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গজারিয়া অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন খয়বর আলী

রাজাপুরে ইভটিজিংয়ের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ৩ দিনেও জড়িতরা অধরা, এলাকায় কিশোর গ্যাং আতঙ্ক!

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩
  • ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠির রাজাপুরে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে অভিমানে ৯ম শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী কেয়া মনি আত্মহত্যার ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও জড়িতদের কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ। জড়িতদের দ্রুত আইননের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছে ওই ছাত্রীর সহপাঠি ও এলাকাবাসী।তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। যে বেঞ্চে বসে সহপাঠিদের সাথে পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল চল্লিশ কাহনিয়া উত্তরপুর দাখিল মাদ্রাসার সেই বসার আসন খালি। সবাই থাকলেও নেই ৯ম শ্রেণির ছাত্রী কেয়া মনি। এদিকে চল্লিশ কাহনিয়া বিষখালি নদীর পাড়ের নির্জন রাস্তা থেকে শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে কিশোর গ্যাং আতঙ্কে বিরাজ করছে।জানা গেছে, মাদ্রাসার জন্য ছবি তুলে
বাড়িতে ফেরার পথে কয়েক যুবক কর্তিক ইভটিজিংয়ের শিকার হন এবং এ বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে
লোকলজ্জার ভয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেন কেয়া মনি। কেয়া ওই এলাকায় মজিদ খানের মেয়ে। গত মঙ্গলবার
রাতে উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া এলাকায় কেয়ার ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায়
অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার ২ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ইভটিজিং এ জড়িত কাউকে আটক
করেনি।কেয়ামনির মা নাছিমা বেগম অভিযোগ করেন জানান, গত ১১ জুন বিকেলে মাদ্রাসায় জন্য ছবি তুলে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে চল্লিশ কাহনিয়া নদীর পাড়ের নির্জন এলাকায় পথরোধ করে ওই এলাকার খলিল মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লাসহ কয়েক যুবক মিলে কেয়ামনিকে ইভটিজিং করে মোবাইলে ভিডিও ধারন করে এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি এলাকায় ও মাদ্রাসায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার ২ দিন পর পরিবার ও সামাজিক চাপে লোকলজ্জার ভয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেন কেয়া মনি। ঘটনার পর থেকে মিজান মোল্লাসহ অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছে। বাবা মজিদ খান জানান, মেয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার চান এবং আর যেন কারও মেয়েকে এভাবে মারা যেতে না হয় সেজন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মিজান মোল্লাকে না পাওয়া গেলেও তার পিতা খলিল মোল্লা দাবি করেন, কয়েক যুবক তাদের আটকিয়ে ছিলো তার ছেলে শুধু ভিডিও করেছে। এ ঘটনায় তার ছেলে যদি জড়িত থাকে এবং অপরাধ করে থাকে তার বিচার তিনিও চান। চল্লিশ কাহনিয়া উত্তরপুর দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার নুরুল ইসলাম জানান, কেয়ামনি অত্যান্ত মার্জিন এবং মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তার মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেয়ার মত নয়। তাকে ইভটিভিং করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে, জড়তিদের কঠোর শাস্ত দাবি করেন তিনি।ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মোঃ মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ইভটিজিংয়ের
একটি বিষয়ের অভিযোগ উঠেছে.সে বিষয়টি তদন্ত করে ইভটিজিংয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓