মরে গেলেন তবুও সম্ভম দিলেন না চলন্তবাস থেকে লাফ দিয়ে আহত নারী শ্রমিক মোছা. শামছুন্নাহার (৩৮)। ময়মনসিংহের ভালুকায় নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্তবাস থেকে লাফ দিয়ে আহত নারী শ্রমিক রোববার(১৮ জুন) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাকিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার সকাল ১১ টায় মারা যান তিনি।গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার মাওনা রিদিশা গার্মেন্টসে কাজ করেন তিনি। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার বাসযোগে ভালুকায় বাড়িতে ফিরছিলেন দুই সন্তানের জননী শামছুন্নাহার। ভালুকার সীডস্টোর এলাকায় বাসের সকল যাত্রী নেমে গেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মায়ের মসজিদ এলাকায় তার সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। এসময় ওই নারী তিনজনের কাছ থেকে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করতে চলন্তবাস থেকে লাফ দেন। পরে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগের চিকিৎসক কামাল হোসেন বলেন, শামছুন্নাহারের মাথার আঘাত খুব গুরুতর ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের ছেলে মো. সজিব বলেন, প্রায় ১০ বছর যাবৎ মা গার্মেন্টসে কাজ করে আমাদের দুই ভাইকে পড়াশোনা করাতো। আমার মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী সবার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে বাসটি জব্দ করা হয় এবং বাসের চালক রাকিব হোসেন, সহকারি আরিফ হোসেন এবং আনন্দ দাশকে আটক করা হয়। শনিবার বিকেলে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।