ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজে (ট্যাংকার) বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ চারজনকে উদ্ধারে উদাসীনতার অভিযোগের মধ্যে পাওয়া গেছে গ্রিজার মো. হৃদয়ের(২৭)মরদেহ।বিস্ফোরণের এক দিন পর রোববার (২জুলাই)বেলা পৌনে ৩টার দিকে হৃদয়ের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। হৃদয়ের বাড়ি হবিগঞ্জে।কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাফায়েত হোসেন বলেন,জাহাজের পেছনে নিচের দিকে পানি ছিল।সেই পানি অপসারণ করার পরই লাশটি জেগে ওঠে। হৃদয়ের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেছে।ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন,মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।যাবতীয় কার্য শেষে নিহতের মামা শফিকুল ইসলামের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।এখনও জাহাজ দুর্ঘটনায় এখনও মাস্টার রুহুল আমিন, ইঞ্জিন ড্রাইভার মাসুদুর রহমান বেলাল ও সুকানি আকরাম হোসেন সরওয়ার নিখোঁজ রয়েছেন।অপরদিকে লাশ উদ্ধারে উদাসীনতার অভিযোগ স্বজনদের। জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও নিখোঁজদের উদ্ধারে কর্তৃপক্ষের যথাযথ তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন নিখোঁজদের স্বজনরা,তবে তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে বলে দাবি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের।
উল্লেখ্য,শনিবার(১ জুলাই)দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পদ্মা অয়েল কোম্পানির জ্বালানি তেলবাহী ট্যংকার‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’ বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়।দুর্ঘটনায় জাহাজের পেছনের তিন তলাবিশিষ্ট চালকের কক্ষ ও কেবিনের অংশ উড়ে গিয়ে পানিতে নিমজ্জিত হয়।এর পর থেকে জাহাজের মাস্টার রুহুল আমিন,সুকানি আকরাম হোসেন, ড্রাইভার মাসুদুর রহমান বেলাল ও গ্রিজার মো. হৃদয় নিখোঁজ ছিলেন।