পাওনাদারদের চাপে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী-সন্তানরা। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে র্নিধারিত সময়ের পাঁচ ঘন্টা পরে স্কুল শিক্ষক আব্দুল আজিজ মৃধার (৭০) জানাজা নামাজ ও দাফন সম্পন্ন হয়। বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৯ টায় বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ চত্বরে শিক্ষক আজিজের জানাজা নামাজের সময় তার কাছে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কয়েকজন পাওনাদার এসে জানাজায় বাধা দিলে বিপত্তি ঘটে। এক পর্যায়ে পণ্ড হয়ে যায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের জানাজা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানরা লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রায় পাঁচ ঘন্টা তার লাশ পড়েছিলো উপজেলা সদর রায়েন্দা কেন্দ্রীয় মসজিদের অজু খানার পাশে। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিবারের লোকদের খুঁজে এনে বেলা আড়াইটার দিকে জানাজা সম্পন্ন করে লাশ তুলে দেয়া হয় প্রথম স্ত্রীর সন্তানের হাতে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ঐ শিক্ষক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মারা যান। মৃত আজিজের প্রথম সংসারের বড় ছেলে মতিয়ার রহমান বলেন,আমার বাবা আব্দুল আজিজ মৃধা তাফালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহন করেন। তার দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার পাঁচরাস্তা এলাকায়। বাবা দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্তানদের চাপে আমাদের কোনো খোঁজ নিতেন না। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর কৌশলে তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্তানরা। কিন্ত বাবার কোনো দেনা শোধ করেনি তারা। শরণখোলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ বলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিদের্শনা অনুযায়ী পরিবারের লোক ও পাওনাদারদের সঙ্গে আলোচনা করে লাশের জানাজা শেষে আজিজ মাষ্টারের প্রথম সংসারের বড় ছেলে মতিয়ার রহমানের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন,খুবই দুঃখজনক ঘটনাটির খবর পেয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধান করে লাশের জানাজা ও দাফনের জন্য বলা হয়। পাওনাদাররা যাতে তাদের টাকা ফেরত পেতে পারেন সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে।