বরগুনার আমতলীতে অপহরণের মামলা করায় স্কুলছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে আসামি পক্ষের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে(১৫ জুলাই) উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারিকাটা গ্রামে। জানা গেছে, গত ১৮ জুন আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারিকাটা গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে আরপাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একই ইউনিয়নের মধ্য আরপাঙ্গাশিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান হাওলাদারের ছেলে বখাটে তামিম হাওলাদার। ওই ঘটনায় গত ২০ জুন ওই শিক্ষার্থীর পিতা মিজানুর রহমান মেয়ে অপহরণের ঘটনায় বখাটে তামিমসহ ৪ জনকে আসামী করে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে অবস্থিত নিজের পানের বরজে কাজ করার সময় ইতিশার বাবা মিজানুর রহমানকে অপহরণকারী তামিমের বাবা মিজানুর রহমান হাওলাদার, চাচাত ভাই শাহজাহান হাওলাদার, ভাই মিলন হাওলাাদারের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পানের বরজে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। স্বজনরা খবর পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অপহরণকারী বখাটে তামিমের পিতা অভিযুক্ত মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমরা কোন হামলা করি নাই। আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য ওই ঘটনা সাজিয়েছে। আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, আহত মিজানুর রহমানের মাথায় দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতের ৩টি এবং হাতে পিঠে পিটিয়ে আহত করার একাধিক চিহ্ন রয়েছে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাকাওয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে বলেন, ওই বিষয়ে থানায় কেহ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #