ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামে লিমা আক্তার (১২) নামে ৭ম শ্রেণির এক মাত্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ আগষ্ট) সকাল ১০ টায় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার ঘরের মাচান থেকে রান্না করার জন্য জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাপের কামড়ের শিকার হন এ মাদ্রাসা ছাত্রী। লিমা মঠবাড়ি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ও মঠবাড়ি গ্রামের লিটন হাওলাদারের বড় মেয়ে। এ দিকে সাপে কামড়ে মাদ্রাসা ছাত্রী লিমার মৃত্যুর বিষয়ে কোন তথ্য নেই রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য কমপ্লেক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু জানেন না এবং কোন তথ্য নেই তাদের রেকর্ডে। ওই ছাত্রীর চাচা রাকিব হোসেন রাজ্জাক জানান, বিভিন্ন স্থানে পানি উঠতেছে এ জন্য সাপ প্রচুর পরিমাণ বেড়ে গেছে। মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।তিনি ওই ছাত্রীর জন্য দোয়া কামনা করেন। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আ’লীগ নেতা দেলোয়ার খলিফা জানান, ঘরের মাচান থেকে রান্না করার জন্য জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাপের কামড়ের শিকার হন এ মাদ্রাসা ছাত্রী। সাপে কামড়ের বিষয়টি ওই ছাত্রী বা তার পরিবার ততটা গুরুত্ব দেননি।পরে ওই ছাত্রী নিস্তেজ হয়ে পড়লে শুক্রবার দিন-রাত বিভিন্ন ওঝা দ্বারা ঝাড় ফুক দিয়ে বাচাতে ব্যর্থ হয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলো তাকে মৃত ঘোষণা করে বলেও জানান। বরগুনাতেও এক ওঝার কাছে নিতে চেয়েছিলো তার পরিবার। মঠবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জালাল হাওলাদার জানান, বিষয়টি শুনে শনিবার সকাল ১০ টায় ওই বাড়িতে গিয়ে নামাজে জানাজায় অংশ নিয়েছি। তাকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে জানতে শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে একাধিক বার মুঠোফোনে কথা হয় রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক আমির হোসেনের সাথে। তিনি জানান, শনিবার ও শুক্রবার এ দুদিনে জরুরি বিভাগের রেজিস্টারে সাপের কামড়ে মৃত্যুর কোন তথ্য নেই। এ বিষয়ে কিছু জানেন না এবং কোন তথ্য নেই তাদের রেকর্ডে।