মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম (এমপি) বলছন, বীর মুক্তিযাদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টন শেখ কামাল ছিলন একজন ভালো দক্ষ সংগঠক। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম অগ্রনী ভূমিকা পালন করছিলেন। শেখ কামাল শুধুই একজন সংগঠক নন একই সাথে তিনি একজন ভালো অভিনয়শিল্পী, ভালো ক্রীড়াবীদ এবং ভালো সুরবাদক ছিলেন। রাষ্ট্রপতির ছেলে হওয়া সত্বেও তিনি সবসময় সাদামাটা জীবন যাপন করেছন। ৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর বাসায় হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিলা যেটা শেষ করেছে শিশুপুত্র রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে। ঘাতকের নির্মম বুলেটের হাত থেকে সেদিন মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানটিও রেহাই পায়নি। মন্ত্রী শনিবার (৫ আগষ্ট) সকালে পিরাজপুরের স্বরুপকাঠি উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযাদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টন শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলন। এসময় মন্ত্রী আরও বলন শেখ হাসিনা মুক্তিযাদ্ধাদের যথাযথ সম্মান দিয়েছন। তিনি মুক্তিযাদ্ধাদের জন্য ভাতা চালু করেছেন, ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন, বসবাসের ঘরের ব্যবস্হা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন মুক্তিযাদ্ধারা জাতীর শ্রষ্ঠ সন্তান তাদেরকে মুল্যায়ন না করে দেশের মঙ্গল করা সম্ভব নয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক সচিব এম সামসুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, পৌর মেয়র গালাম কবির, সহকারি পুলিশ সুপার সাবিহা মাহবুব, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাবেক সম্পাদক এস এম ফুয়াদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহান, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা নজরুল ইসলাম প্রমুখ। সভাশেষে উপজেলারা অসচ্ছল ১১ টি মুক্তিযাদ্ধা পরিবারের হাতে বীর নিবাসের চাবী হস্তান্তর করেন মন্ত্রী। এর পূর্ব মন্ত্রী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং তার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। পরে মন্ত্রী উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এ্যাসাসিয়েশন আায়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্ততা করেন।