পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মো. জয়নাল আবেদীন (৫০) নামে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) এক ব্যক্তির পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে তিন হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) সদস্য কনস্টেবল মো. জসিম উদ্দিন ওই ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জসিম উদ্দিন বাউফল থানায় কর্মরত আছেন। জয়নাল আবেদীন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকুরী করেন। তাঁর নামে কোনো মামলা নাই। জয়নাল আবেদীনের এক শুভাকাঙ্খী কলেজ শিক্ষক মো. আল আমিন জসিম উদ্দিনকে ওই ঘুষের টাকা দেন। আল আমিন বলেন, একেতো দরিদ্র, এরপরে আবার শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাঁর (জয়নাল) পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাগজপত্র নিয়ে পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিন দেখা করতে বলেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে থানায় গিয়ে তাঁর (জসিম উদ্দিন) মুঠোফোনে কল করলে তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে দেখা করতে বলেন। পরে তিনি (জসিম) ওই চায়ের দোকানে বসে কাগজপত্র দেখে বলেন, ঠিক আছে। খরচ দিয়ে যান। প্রথমে দুই হাজার টাকা দিলে ফিরিয়ে দেন। তিনি (আল আমিন) বলেন, গরিব মানুষ, একটু কমিয়ে রাখেন। তখন তিনি (জসিম) বলেন, সবার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেন। গরীব মানুষ এ কারণে তিন হাজার টাকা দেন। নিরুপায় হয়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে চলে আসেন। ওই সময় তাঁর (আল আমিন) সঙ্গে আরও দুজন শিক্ষক ছিলেন। এমন দৃশ্য দেখে তাঁরা দুজন হতভম্ব হয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে কল করে তাঁকে (আল আমিন) বলেন,পাঁচশ টাকা ফেরত দিয়ে দিবেন। কিন্তু রোববার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কোনো টাকা ফেরত দেননি বলে আল আমিন জানান। এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন,ভাই ভুল হয়ে গেছে। সব টাকা ফেরত দিয়ে দেব।