মুন্সিগঞ্জে স্কুল ছাত্রী লায়লা আক্তার লিমুকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত খোকনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৭বছরের কারাদণ্ড ও ১০হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া কয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফাইজুনন্নেছা এ রায় ঘোষনা করেন। খোকন সিরাজদিখান উপজেলার পাউশার এলাকার মো: বাবুলের ছেলে। কোর্ট পুলিশের ইনচার্জ জামল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।নিহত লিমু শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী এলাকার আব্দুল মতিনের মেয়ে স্থানীয় বাড়ৈখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলো। মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ২০১৮সালের ২৮ আগষ্ট শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী এলাকা নিজ বাড়ি থেকে কেনাকাটার জন্য বের হয় কিশোরী লায়লা আক্তার রিমু। পরে ৩০আগষ্ট স্থানীয় বাড়ৈখালী বাজারে চান মার্কেট সংলগ্ন ইছামতি নদীর পাড় থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় অভিযুক্ত খোকনকে আসামী করে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আব্দুল মতিন। মামলার তদন্তে লিমুকে ধর্ষণের পর ধামাচাপা দিতে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা উঠে আসে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এড. লাবলু মোল্লা জানান, পাঁচ বছর আইনি লড়াই শেষে অবশেষে রায় দেওয়া হয়েছে । দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে আদালত। আমরা ২০জন স্বাক্ষ্য দেয় একই সাথে অভিযুক্ত নিজেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ফাঁদে ফেলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিলো, পরে দামাচাপা দিতে নির্মমভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়েছিলো। অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়া ৩০২ধারায় আসামীর মৃত্যু দণ্ড ও ২০১ধারায় লাশ গুম করার ৭বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে বিচারক। এদিকে রায় ঘোষণায় সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে নিহতের পরিবার। নিহতের বড় ভাই মো: রিপন জানান, আমার বোনতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা অভিযুক্তরর শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আজকে আদালত অবিযুক্ত খোকনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। আমরা চাই যেনো দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন হয়।