পটুয়াখালীর বাউফলে বলাৎকারের শিকার হয়ে মো. রাফি(১৩) নামে হাফিজি মাদ্রাসা এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কওমি হাফিজিয়া ও নূরাণী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. সেলিম গাজীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামের মো. রেজাউল মীরের ছেলে মো. রাফি দুই বছর আগে একই এলাকার ওই মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি হন। গত আট মাস আগে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে নিয়ে কুয়াকাটা শিক্ষা সফরে যান শিক্ষক সেলিম গাজী। সেখানে আবাসিক একটি হোটেলে রাত্রি যাপন করেন তারা। এ সুযোগে সেলিম গাজী কুপ্রস্তাব দেন রাফিকে। এতে রাফি রাজি না হওয়ায় নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখানো হয়। এক পর্যায়ে রাফিকে বলাৎকার করেন ওই শিক্ষক। এরপর মাদ্রাসায় ফিরে প্রায়ই তাকে বলৎকারের শিকার হতে হয়েছিল। এতে দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে রাফি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এতে সুস্থ না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাফিকে গত ১৩ আগষ্ট রাজধানীর মহাখালী জাতীয় ক্যান্সার গভেষণা ইন্সিটিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে রাফির মলধার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রাফির বাবা রেজাউল মীর বলেন, আমার ছেলেকে লেখাপড়া করার জন্য মাদ্রাসায় পাঠিয়েছি। সে কেন বলৎকারের শিকার হবে? ঢাকায় চিকিৎসা চলাকালীন সময় বলাৎকারে শিকার হয়েছিল বলে রাফি আমাকে জানিয়েছিল। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। যাতে আমার মত আর কোন বাবার সন্তান এভাবে মারা না যায়। বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।