পিরোজপুরে ভান্ডারিয়ায় সাদিয়া আক্তার মুক্তা (১৮) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার কারেছেন থানা পুলিশ। শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পৌর শহরের কানুয়া এলাকার মনির জমদ্দারের ইটের ভাটার মধ্যে থাকা একটি ডোবার কচুরিপনা থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে থানা পুলিশ স্বামী ও শ্বাশুড়ি সহ ৫ জনকে আটক করেছেন। নিহত সাদিয়া আক্তার উপজেলার পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মামুন জোমাদ্দারের ছেলে মুমিন জোমাদ্দারের স্ত্রী এবং একই উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজিবুর রহমান মুন্সির মেয়ে। ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আশিকুজ্জামান জানান, গভীর রাতে একটি ফোন থেকে ওই নারীকে হত্যা করে ফেলে রাখার তথ্য পাই। পরে থানা পুলিশও ফায়ার সার্ভিসের লোক নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রীধীন আছে। আটককৃতরা হলেন- নিহতের স্বামী মুনিম, শ্বাশুরী ছবি এবং শাকিব খন্দকার, মারুফ ও সিয়াম খান সজিব। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, ভান্ডারিয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মামুন জোমাদ্দারের ছেলে মুনিম জোমাদ্দার বছর খানেক আগে ভান্ডারিয়া শ্রীপুর গ্রামের মজিবুর রহমান মুন্সির মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করে। কয়েক দিন আগে পারিবারিক কলহের কারনে মুক্তাকে তার স্বামী মারধর করেন। এ ঘটনার পর মুক্তা বাবার বাড়ি চলে যান। গত শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে মুনিম মুক্তাকে নিয়ে যায়। পরে মুক্তাকে নিয়ে ভান্ডারিয়ার চেচরী রামপুর ব্রীজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মুনিমের বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব উপস্থিত হয়। তাদের সহযোগীতায় হিজাব পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে কাছে থাকা বেরীবাঁধের পাশে লাশ ফেলে রাখে।