ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌর বাজার ব্যবসায়ী ও পৌর ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোশারেফ ওরফে মসুকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ব্যবসায়ীরাসহ এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বোরহানউদ্দিন থানার সামনে সহস্রাধিক নারী পুরুষের উপস্থিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,বোরহানউদ্দিন পৌ ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দে হারু হাং, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী হীরা, পৌর শ্রমিকলীগ সভাপতি আবুল কাশেম রাড়ি, পৌর শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন খোয়াজ সহ অন্যান্যরা । এ সময় বক্তরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে হুসিয়ারী দিয়ে বলেন, দ্রুত মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার না করলে সামনে কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে। মানববন্ধন চলাকালে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রাজিব মানববন্ধনকারীদের সাথে সহমত প্রকাশ করে অপরাধীদের ধ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন । জানাযায়, নিহতব্যবসায়ী মোশারেফের মেঝ ছেলে শান্তর সাথে পাশ্ববর্তী ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের বশির পাটোয়ারীর ছেলে সুমনের (২২)এর বন্ধু চাঁন মিয়া সাথে প্রায় ১ বছর পূর্বে ঢাকায় ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সুমনের বন্ধুরা শান্তর কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ওই ঘটনার ১ বছর পরে বশির পাটোয়ারীর ছেলে সুমনের বন্ধু চাঁন মিয়াকে বোরহানউদ্দিন সদরে পেয়ে মৃত মোশারফের ছেলে শান্ত তাকে থাপ্পর মারেন। এর রেশে গত শুক্রবার ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৮ টার দিকে সুমন, শাহিন ওরফে সখা,কামালসহ একদল বখাটে ব্যবসায়ী
মোশারফকে হাত মুখ বেঁধে অটো রিক্সায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। সুমনসহ অজ্ঞাত ২০ জন তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়রা আহত
মোশারেফ হোসেন ওরফে মসুকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে পাঠায়। আহত মসুর
চিকিৎসার অবনতি হলে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে গত রোববার ঢাকা নেয়ার পথে মসু মারা যায়। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গিয়াস নামের ১ জনকে
গ্রেফতার করা হয়।