পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আসপদ্দি ছাগল উৎপাদনকারী দলের সদস্যদের নামে উপজেলা প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত চেকের টাকা ব্যাংকে বসে দপ্তরের মাঠকর্মীরা জোরপূর্বক ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রকৃত ছাগল উৎপাদনকারীর তালিকা তৈরিতেও রয়েছে মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ। জানাযায়, কাউখালী উপজেলার আসপদ্দি ছাগল উৎপাদনকারী দলের ৩০ জন হতদরিদ্র নারী সদস্যদের ছাগল পালনের লক্ষে সরকার কতৃক ঘর তৈরির জন্য জন প্রতি ২০ হাজার টাকা উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তরের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়। সোমবার অনুদান প্রাপ্তরা চেকের টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গেলে প্রানিসম্পদ দপ্তরের এলএসপি ও এলএসএ এর কর্মী তানিয়া, টিটু, কামরুল, রুবেল ওই টাকা তাদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়ার জন্য ব্যাগ নিয়ে ব্যাংকে দাঁড়িয়ে থাকে। তারা ওই টাকা দিতে না চাইলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডাতা হয়।পরে ব্যাংক কতৃপক্ষ প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশনায় চেকের টাকা দেয়া বন্ধ করে দেন। প্রানিসম্পদ দপ্তরের ওই সকল মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে তালিকা তৈরিতেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। আসপদ্দি ছাগল উৎপাদনকারী দলের সভাপতি তানজিমা আকতার বলেন, সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিস থেকে আমাদেরকে অনুদানের টাকার চেক দেয়া হয়। তারা চেক পেয়ে কৃষি ব্যাংক কাউখালী শাখা থেকে ওই টাকা উত্তোলন করতে গেলে প্রানিসম্পদ দপ্তরের কর্মী তানিয়া, কামরুল,টিটু,রুবেল ব্যাংকের সামনে বসে তাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ টাকা নেয়ার জন্য ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে থাকে।এসময় ওই মাঠকর্মীরা তাদেরকে বলেন আপনারা টাকা উত্তোলন করে আমাদের কাছে টাকা জমা দিয়ে যাবেন। আমরা আপনাদের ছাগলের ঘর তৈরি করে দিব।এসময়ে ভুক্তভোগী নারীরা তাদেরকে টাকা দিতে না চাইলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডাতার সৃষ্টি হয়। পরে ব্যাংক কতৃপক্ষ তাদের চেকের টাকা দেয়া বন্ধ করে দেন। অভিযুক্ত প্রানিসম্পদ দপ্তরের এলএসপি কর্মী তানিয়া বলেন, অনুদান পাওয়া ব্যক্তিরা প্রথমে নিজেদের টাকায় ছাগলের জন্য ঘর তৈরি করবেন। তার পরে তারা অনুদানের টাকা পাবেন।কিন্তু অনুদান পাওয়া ব্যক্তিরা হতদরিদ্র নারী হওয়ায় তারা নিজেদের টাকায় ঘর তৈরি করতে পারছেন না। তাই আমরা তাদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে তাদের ঘর তৈরি করে দেয়ার কথা বলেছি। এ জন্য তাদের কাছে আমারা টাকা টা চেয়েছিলাম। আর তালিকা তৈরিতে কোন অনিয়ম করা হয়নি। আমরা মাঠ থেকে নাম সংগ্রহ করে অফিসে জমা দিয়েছি। পরে কর্মকর্তারা তা থেকে বাছাই করে তালিকা তৈরি করেছেন। জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা অরুন কুমার সিকদার বলেন, অনুদান প্রাপ্তরা নির্দিষ্ট ডিজাইনে ছাগল পালনের জন্য নিজ অর্থায়নে প্রথমে ঘর তৈরি করবেন। এর পর দপ্তর থেকে তাদের অনুদানের টাকার চেক দেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কাউখালীতে ঘর তৈরির আগেই তাদেরকে চেক দেয়ায় একটু বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। ওখানে কর্মকর্তা না থাকার কারণে এই সমস্যাটা হয়েছে।