ধর্ষনের ১০ ও ১১ বছর পর দুই ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বরিশালের আদালত। পাশাপাশি দুই দণ্ডিতকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন রায় দেন বলে জানিয়েছেন বিশেষ পিপি এ্যাড. ফয়েজুল হক ফয়েজ। রায় ঘোষনার সময় দুই দণ্ডিত এজলাসে উপস্থিত ছিলো বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির। দণ্ডিতরা হলো-বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আহতী বাটরা গ্রামের সুবীর হালদারের ছেলে রজত হালদার (৩৬) ও উজিরপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত আরজ আলী বালীর ছেলে আবুল হোসেন বালী (৪৫)। পৃথক দুই মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির জানান, ২০১২ সালের ৫ জুন আহতী বাটরা গ্রামের বাড়ীর পাশের ধানক্ষেতে গরু তাড়াতে যায় ১১ বছর বয়সী শিশু কন্যা। ক্ষেতের পাশে থাকা রজত শিশু কন্যার মুখ চেপে ধরে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে শিশু কন্যাকে ধর্ষন করে রজত। শিশুকন্যার চিৎকারে তিন সহপাঠি শিশু কন্যার একজনের বাবা এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশু কন্যা বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করে। থানার এসআই ইদ্রিস আলী ২০১২ সালের ৪ অগাষ্ট রজতকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট জমা দেয়। বিচারক ৭ জনের স্বাক্ষ্য নিয়ে রায় দিয়েছেন। অপরদিকে ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল উজিরপুরের ৯ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রীকে খাবারের প্রলোভন দিয়ে দোকানের পিছনে নেয় দণ্ডিত দোকানী আবুল হোসেন বালী। পরে সেখানে তাকে ধর্ষন করে। এ সময় এক ক্রেতা এসে দোকানী আবুলকে না পেয়ে পিছনে উকি দিয়ে শিশুকে ধর্ষন করতে দেখে মাদ্রাসায় গিয়ে জানিয়ে দেয়। পরে মাদ্রাসার শিক্ষকরা গিয়ে শিশুকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে মামলা করে। উজিরপুর মডেল থানার এসআই হুমাউন কবির একই বছরের ২৩ জুন আদালতে চার্জশীট জমা দেয়। বিচারক ৪ জনের স্বাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষনা করেছেন।