পিরোজপুরের নাজিরপুরে ৪ ইউনিয়নের তহশিলদার ও সহকারী তহশিলদারদের জেলার বাহিরে বদলি করা হয়েছে।রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এর মধ্যে ওই বদলিকৃত নতুন কর্মস্হলে যোগদানের অদেশ করা হয়।বদলির আদেশ সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি অফিস সহকারী কর্মকর্তা পরিমল কুমার দে।তাকে বরগুনার তালতলি উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের ভূমি অফিস, মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. সুজনকে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, নাজিরপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা শাহজাহান কবিরকে ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. হাসান হাওলাদারকে বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।একই সাথে বদলিকৃতরা ওই নির্ধারিত তারিখের যথযথ সময়ের মধ্যে নতুন কর্মস্হলে যোগদান না করলে পরের দিন বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অপরাহ্নে বর্তমান কর্মস্হল থেকে অবমুক্ত হিসাবে গন্য হবেন।উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে উপজেলা ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমান কর্তৃক সাথে তার নিজ অফিস কক্ষে বসে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তহশিলদারদের সাথে নামজারির জন্য ঘুসের টাকা নির্ধারনের একটি কথোপকথন হয়।পরে ওই কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) তদন্ত করেন।ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রনাল অভিযুক্ত এসিল্যান্ডকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, এর আগে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের তহশিদাররা মিউটেশনের জন্য আসা সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কেস প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ঘুস নিতেন।এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমান গত ৮ জুন নাজিরপুরে যোগদানের পর ওই ঘুসের টাকা কমিয়ে ৬ হাজার টাকা কারায় এবং ওই টাকা থেকে তিনি ৪ হাজার টাকা দাবী করায় তহশিলদাররা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ঘায়েল করতে ওই অডিও ফাঁস করেন।