পিরোজপুর জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘুষ ও নারী কেলেঙ্কারীর লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।জেলার সদর উপজেলা ও নাজিরপুরের প্রায় অর্ধ শত শিক্ষকরা ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গনশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও এর সচিব সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।গত ২৩ সেপ্টেম্বর দেয়া ওই লিখিত অভিযোগের একটি কপি ভুক্তভোগী শিক্ষকরা গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্হানীয় সংবাদ কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেন।লিখিত ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষা কর্মকর্তা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পরিদর্শন কালে বিভিন্ন সাধারন অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষকদের হয়রানী সহ জোর করে ঘুষ আদায় করেন।তার ওই ঘুষ আদায়ে সহযোগীতা করেন জেলার সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তপা বিশ্বাস।জেলার নাজিরপুর উপজেলার ৯৪ নম্বর ভাইজোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা করুনা বিশ্বাস জানান, ওই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গত ১২ সেপ্টেম্বর তার বিদ্যালয়টি ছুটিকালে সেখানে পরিদর্শনে যান।পরে বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষককে ছুটির আগে বিদ্যালয় ত্যাগের অভিযোগ দেখিয়ে কারন দর্শানোর নোটিশ সহ বেতন কর্তনের আদেশ দেন।পরের দিন ১৩ সেপ্টেম্বর ওই প্রধান শিক্ষিকা ওই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে যান। এ সময় সেখানে থাকা সদর উপজেলার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা তপা বিশ্বাসের মাধ্যমে ওই শিক্ষা কর্মকর্তা প্রতি শিক্ষক বাবদ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।একই অভিযোগ উপজেলার ২ নম্বর সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫ নম্বর কতুলুইতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১২ নম্বর দীর্ঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। তাদের দাবী ওই কর্মকর্তা ওই সব বিদ্যালয় পরিদর্শনের নামে লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।এ ছাড়া জেলার সদর উপজেলার ৮ নম্বর নন্দীপাড়া গাবতলা ও ৫৮ নম্বর গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও একই অভিযোগ করেন।তবে এ বিষয়ে ওই শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, ভাইজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শন কালে ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন সজলের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন ও তার ননদ(চেয়ারম্যানের বোন) ডায়মন্ড আক্তারকে পাওয়া যায় নি।স্হানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন তারা বিভিন্ন সময় ভাই ও স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে ছুটি ভোগ করেন।এ সময় প্রধান শিক্ষক ওই দুই শিক্ষক ছুটিতে থাকার কথা বললেও কোন আবেদন দেখাতে পারেন নি।আর ৫৮ নম্বর গাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোন ধরনের খাত দেখানো ছাড়া কিছু টাকা আত্মসত করেছেন।বিষয়টি নিয়ে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন।অভিযুক্ত জেলার সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপা বিশ্বাস বলেন, আমি ওই দিন জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে নাজিরপুরের ভাইজোড়া যাই নি। এমন কি পরের দিন ওই কথা বলি নি।তা ছাড়া আমার সাথে তার কোন অনৈতি সম্পর্কের অভিযোগ মিথ্যা। আমি সম্প্রতি অন্যত্র বদলি হয়েছি, তাই সেখানে আছি।