পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ৩৪ নং সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিটন চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা অমান্য করা ও এসএমসির সভাপতিকে হুমকি দেয়া সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।মামলার নোটিশ ও অভিযোগনামা গত ৩০ অক্টোবর জেপ্রাশিঅ/পিরোজ/১৭৭৯ স্মারকে পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ওই শিক্ষক বরাবর প্রেরণের জন্য কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিবুর রহমান।ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ লিয়াকত হোসেন গত ৪ অক্টোবর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর সহকারী শিক্ষক লিটন চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগনামা দেন।অভিযোগনামা সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক লিটন চন্দ্র পাল স্কুলে যোগদানের কিছু দিন পর থেকেই নানা অনিয়ম ও অপকর্মের সাথে জরিত।তিনি প্রধান শিক্ষকের আদেশ অনুসরণ না করে নিজের খেয়ালখুশি মতন চলেন। বিদ্যালয়ে দেরি করে আসেন এবং আগে চলে যান তার কোচিং সেন্টার পরিচালনার জন্য।নিয়মিত স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠ দান করান না, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়াই স্কুলে পাঠদানের সময় চায়ের দোকান কিংবা অন্যত্র ঘুরে বেড়ান।স্কুল ফাঁকি দিয়ে সাপ্তাহিক হাটের দিন সোমবার সঠিক সময়ে স্কুলে না গিয়ে রাখি সুপারি ব্যবসার জন্য সুপারি কেনেন।তিনি প্রধান শিক্ষক সম্পর্কে নানা অপপ্রচার করে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।এছাড়াও তিনি নিজেকে নেতা দাবি করে প্রধান শিক্ষক ও এসএমসির সভাপতিকে হুমকি দেয়া সহ সকল নিয়ম কানুনের উর্দ্বে থাকতে চান।তার উপরোক্ত কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ এবং আমোল জোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি।সেইসঙ্গে কেন একই বিধিমালা মোতাবেক চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না বা উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত ভাবে জানাতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।একই সঙ্গে তিনি ব্যক্তি গত ভাবে শোনানি দিতে ইচ্ছুক কিনা তাও জবাবে লিখিত ভাবে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ্মা রানী দত্ত সভাপতির অভিযোগের পর তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর দায়ের করেন। ওই অভিযোগে প্রধান শিক্ষক নির্দিষ্ট ভাবে তার অনিয়মের পাশাপাশি স্কুলের সরকারি মালামাল নেওয়ার চেষ্টা করা সহ তাকে বিভিন্ন সময় অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ করেন।এ ব্যাপারে শিক্ষক লিটন চন্দ্র পাল মামলার নোটিশের বিষয়টি স্বীকার করে তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিবুর রহমান বলেন, শিক্ষক লিটন চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলার একটি নোটিশ ও অভিযোগনামার কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পেয়েছি।সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা মোতাবেক মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ওই শিক্ষকের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।