পিরোজপুরে এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গরীব অসহায়দের প্রশিক্ষনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর এর প্রতিবাদ করলে ভুক্তভোগীদের মারধর করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে।আর এ অভিযোগে ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযুক্ত শিউলী বেগম ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ওই প্রশিক্ষন প্রকল্পের ইউনিয়ন সভাপতি।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের কলাখালী গ্রামে এসডিএফ-এর আওতায় অসহায়দের আত্ম নির্ভরশীল করতে চলতি বছরের জুন মাসে একটি প্রশিক্ষন শুরু হয়।ওই প্রশিক্ষনে অংশ নেয়া প্রায় দুই শতাধীক নারী-পুরুষের মধ্যে ৪০ জনকে প্রত্যেকের জন্য ৯ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়।ওই ভাতা ভোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সর্বোনিম্ম ২২শত টাকা থেকে শুরু করে কারো কারো পুরো টাকাটাই আত্মসৎ করেছেন।এ ছাড়া প্রশিক্ষনে নিজের আত্মীয়-স্বজনের নাম অর্ন্তভুক্ত করা সহ প্রশিক্ষনের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে, এ সব অভিযোগের কারনে তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সভানেত্রীর পদ থেকে অব্যহতি দিলেও তিনি পুনরায় গায়ের জোরে সেই পদ দখল করে আছেন।সরেজমিনে সেখানে গেলে ভুক্তভোগীরা জানান,ওই ইউপি সদস্যের ওই সব অপরাধের প্রতিবাদ করলে সমিতির সদস্যদের কার্ড আটকে রাখা সহ তাদের প্রশিক্ষনে আসতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে।প্রশিক্ষনে অন্য ওয়ার্ডের তার আত্মীয়দের প্রশিক্ষনে অংশনেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।আর এ সবের প্রতিবাদ করায় স্হানীয় শ্যামলী রানী সহ কয়েক হিন্দু নারীকে দেশ ত্যাগ সহ হত্যার হুমকী প্রদান করেন।ভুক্তভোগী সাহাদাত হোসেন জানান, তার কাছ থেকে সমিতির সভানেত্রী অভিযুক্ত শিউলি বেগম ৮ হাজার টাকা নিয়েছেন।এ ছাড়া তার এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে স্হানীয় মনির খন্দকার (৩৮) কে ওই ইউপি সদস্য ও তার লোকজন গত ১৯ অক্টোবর বেদম মারপিট করেন।এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিউলি বেগমের সাথে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি চক্র তাকে হয়রানী করতে এমন মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।