নারায়ণগঞ্জ নারী সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে ইজদাইর বাজার রেললাইন বস্তির ছিন্নমূল অসহায় শিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ কর হয়।নারী সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সুমি আক্তার এই সম্পর্কে বলেন আজ এই অসহায় শিশুদের পাশে এসে দাঁড়াতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগছে আমি আমার সংগঠনের সকল সদস্যদের কে নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি।আমি চাই আমার মত সবাই এদের পাশে দাঁড়াবেন যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এদের পাশে দাঁড়াবেন।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪/৫/৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার সকলের আস্থাভাজন ফেরদৌস আরা অনা।প্রধান অতিথি ফেরদৌস আরা অনা বলেন মনের কথাগুলো ব্যক্ত করেন আমি পড়তে চাই কিন্তু ইস্কুলে গেলে কাম করবে কে? দাদি পড়তে দেয় না।টুনির মত এরকম অনেক শিশু পড়তে চায় কিন্তু সুযোগ পায় না।শিশু শ্রমিক আরিফ নামে তার বয়স ১০ কাজ করে ৯ টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত দোকানে কাজ করে ৯ টা থেকে কাজ শুরু করে সারাদিন বোতল বিক্রি করে যা টাকা পায় তা কোনমতে তার রাতের খাবারটুকু হয়। তারেক কত টাকা পায় তাও ঠিক মত জানেনাকোন সময় ১৫০ টাকা কোন সময় ১০০ টাকা কোন সময় ৮০ টাকা কোন সময় একটা টাকাও পায় না। বোতল নেওয়ার কষ্টের গান অনেক মাকে সময় মাইর দেয়।খারাপ কথা কয়।যদি পারতাম তাহলে এই কাম করতাম না।তখন ১০ টাকা কিছু বেশি।আশেপাশে কিছু শব্দহীন।সবাই গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে।এসব শিশু যাচ্ছে তাদের অস্থায়ী ঠিকানা সকালের আলো ফুটলে আবার শুরু হবে তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম।চাইলে এসব শিশু পারেনা।এই কষ্টের জীবন ত্যাগ করতে হবে। তবে আমাদের সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে এসব শিশুকে কিছুটা হলেও আলো দেখাতে এ সময় সহযোগিতায় ছিলেন আমেনা রহমান চেয়ারম্যান ওয়েস্টার্ন গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদি নিট ফেব্রিক্স।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারী উদ্যোক্তা রিপা আক্তার।আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নারী সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুর আলম আকন্দ।উপদেষ্টা নুর আলম আকন্দ বলেন অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না শিশুকে কোনো অবস্থাতেই অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।এতে তার মনে হবে, বাবা-মার কাছে ওই শিশুটিই বেশি পছন্দের।নিজের প্রতি তার আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।আত্মবিশ্বাস কমে গেলে বাইরের মানুষের সঙ্গে মেশার আগ্রহ আরও কমে যায় আগ্রহ/ সম্ভাবনার জায়গা খুঁজে বের করুন আপনার শিশুটি কোন বিষয়ে বেশি আগ্রহী সেটি খুঁজে বের করলে তাকে বোঝা সহজ হবে। যেমন- শিশু ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহী হলে তার ছবির প্রতি আগ্রহ দেখান।বাসায় কেউ বেড়াতে এলে তাদেরও বলবেন, শিশু যা খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বা যে বিষয়ে আগ্রহী তা নিয়ে গল্প করতে।এতে করে শিশুর সামাজিক বিকাশ সঠিকভাবে হয় সময় আরো উপস্থিতে নারী উদ্যোক্তা রিপা আক্তার বলেন বাচ্চারা হামাগুড়ি শেখার পর যেভাবে তাদের মাটিতে ছেড়ে দেওয়া হয় হাত-পা নেড়ে খেলে বেড়াবার জন্য, অন্যের সঙ্গে মেশার বেলায়ও তাই করতে হবে।শিশুকে কারো সঙ্গে খেলতে দিয়ে বারবার নজরদারি করা যাবে না সে কীভাবে খেলছে।শিশু যদি নাও খেলে তাকে অন্য শিশুর সঙ্গে বসিয়ে রাখুন, তাকে অন্য বাচ্চা সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলুন আর ও শিশু স্কুলে বুলিংয়ের শিকার হলে কী করবেন, জেনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে অতিরিক্ত সুরক্ষিত করতে যাবেন না অভিভাবক হিসেবে সন্তানকে সুরক্ষিত রাখা আপনার দায়িত্ব।কিন্তু তাকে অতিরিক্ত সুরক্ষিত রাখতে গেলে এটি তার জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে।অনেক সময় বাবা-মা ইচ্ছা করে কারো কোলে দিতে চান না, কারো সঙ্গে খেলতে দিতে চান না।কিন্তু বাচ্চার একটু বয়স বাড়তে থাকলে তারাই আবার দুশ্চিন্তা করেন শিশু কেন কারো সঙ্গে মিশছে না। শিশুকে অন্যের সঙ্গে মিশতে দিন, খেলা করতে দিন। এভাবে মিশতে মিশতে অভ্যাস রপ্ত হয়ে যাবে।শিশুর বৃদ্ধির সঙ্গে তার সামাজিক বিকাশও জরুরি।কিন্তু অনেক শিশু সামাজিক এ বিষয়টিতে ততটা আগ্রহী হয় না।পরিবারের সঙ্গে ভালোভাবে মিশতে পারলেও পরিবারের বাইরে একেবারেই নিশ্চুপ হয়ে যায়।শিশুর এই মিশতে না পারা বাবা-মার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।এ বিষয়ে কী করণীয় সেই পরামর্শ দিয়েছেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উপপরিচালক (মনোবিজ্ঞান) শুভাশীষ কুমার চ্যাটার্জি। তিনি বলেন শিশুরা কারো সঙ্গে মিশতে না চাইলে তা অভিভাবকদের জন্যে বেশ বিড়ম্বনার কারণ।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা পরিবারের একমাত্র সন্তান, এই সমস্যাটি তাদের বেশি হয়ে থাকে।খেলার সময় তারা হয় পরিবারের কারো সঙ্গে খেলে, নয়তো একা একা।এভাবে একা থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে শিশুরা বাইরের কারো সঙ্গে মেশা তো দূরের কথা, দেখা করতেও ভয় পায়।শিশুদের কারো সঙ্গে না মেশার কারণ হিসেবে তিনি বলেন,’সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে ছাড়তে হয়, যাতে তার সামাজিকীকরণ, সামাজিক বিকাশ সঠিকভাবে হয়।বাবা-মা বেশি কর্তৃত্বপরায়ণ হলে শিশুরা বাইরের কারো সঙ্গে মিশতে ভয় পায়।তারা সহজে তার সমবয়সী শিশুকে বিশ্বাস করতে পারে না। তাছাড়া শিশুটি কী বিশেষভাবে কোনো ব্যক্তিকে ভয় পাচ্ছে কি না, তার আচরণ থেকে বাবা-মাকে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে।১০টি নৈতিক মূল্যবোধ যা আপনার বাচ্চাদের অবশ্যই শেখানো উচিত পিতা-মাতার দায়িত্ব কেবলমাত্র একটি শিশুর শারীরিক বিকাশের যত্ন নেওয়া নয় –এটি শিশুর মানসিক বৃদ্ধি উন্নত করার ক্ষেত্রে সূক্ষ্মভাবে যত্ন নেওয়াকেও বোঝায়। পিতামাতারা, যুক্তিযুক্তভাবে, তাদের সন্তানের চরিত্র গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন এবং বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে জীবনে সে কিরকম মানুষ হয়ে উঠবে তার উপর সর্বাধিক প্রভাব ফেলেন।