মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গোমতী সেতুর ঢালে শহীদ নজরুলের সমাধি ও স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অতিথিরা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ আহমেদ, বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তানেস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম আমিরুল ইসলাম, মোঃ কামরুল ইসলাম, বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আল-মামুন প্রধান প্রমুখ।এ সময় বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষক হিসাবে ভারতে দুই মাস কাটান নজরুল।ডিসেম্বরের প্রথমে নজরুল আবার দেশে ফিরলেন বিএলএফ গজারিয়ার কমান্ডার হয়ে।৯ ডিসেম্বর ১৯৭১, নজরুল ৩০-৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ গজারিয়ায় অবস্থান করছিলেন।তারা খবর পেল গজারিয়ার ভাষারচর নদীরপাড়ে পাকবাহিনী আবস্থান করেছে।নজরুলবাহিনী খবর পেয়ে সেখানে গেলে পাকবাহিনীর সাথে গোলাগুলি শুরু হয়।নজরুল বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন ১০০ থেকে ১৫০ সাধারণ জনগণ।এক পর্যায়ে পাকবাহিনী পিছু হটতে থাকে।উত্তেজিত জনগণ পাকবাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হঠাৎ নজরুল দেখতে পান এক পাকসেনার কাছে একটি গ্রেনেড।তিনি তখিই উপস্থিত জনগণকে সেখান থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেন। ওই মুহূর্তে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হলে নজরুলসহ ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।পরে আহতাবস্থায় বেলতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। চূরান্ত বিজয়ের মাত্র ৭ দিন আগে ৯ ডিসেম্বর শহীদ হন এই বীর সেনা।