জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের জন্য ৩২টি আসন ছেড়েছে আওয়ামী লীগ।রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি সচিব মো.জাহাংগীর আলমের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় পার্টিকে ২৫টি এবং শরিক দলগুলোর জন্য পাঁচটি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এর আগে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বাছাই করে প্রার্থী ঘোষণার সময়ই কুষ্টিয়া-২ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থী দেয়নি। সব মিলিয়ে জাপা ও শরিকদের জন্য ৩২টি আসন ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলো হলো- ঠাকুূরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮।শরিক দলগুলোকে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলো হলো- বগুড়া-৪, রাজশাহী-২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৪।বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে ২৯৩টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ রয়েছে। আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র ১৪ দলের শরিক তিনটি রাজনৈতিক দলকে ছয়টি আসন দেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টিকে দুইটি, জাসদকে তিনটি এবং জাতীয় পার্টিকে (জেপি-মঞ্জু) একটি আসন দেওয়া হয়েছে।এসব আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, ‘২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করেছি। জাতীয় পার্টির জন্য ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩২টি আসনে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহারে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থাকবেন কি-না- জানতে চাইলে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানাতে এসেছিলাম।সেক্ষত্রে অন্য কোনো দল বা প্রার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা আমাদের নেই।তিনি বলেন, ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে ১৪ দলের শরিকরা আওয়ামী লীগের প্রতীক এবং জাতীয় পার্টি নিজেদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে।এবারের নির্বাচনে ২৯৮টি আসনে প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ।ইসির যাচাই-বাছাইয়ে পর পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এছাড়া জাতীয় পার্টি ও শরিক দলকে ৩২টি আসন ছেড়ে দেওয়ার পর ২৬১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ক্ষমতাসীন দলটির প্রার্থীরা।* সংবাদটি দৈনিক শিক্ষা ডটকম থেকে সংগৃহীত।