মোঃ ওসমান গনি নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি এর উদ্যোগে ইটভাটা, আটো রাইস মিলস্, রোলিং স্টিল মিলস্ সহ সকল কল-কারখানার বিষাক্ত কালো ধুয়া নির্মূল করণে সিপিটি (কার্বন পিউরিফিকেশন টেকনোলজি) স্থাপন করে বায়ূ দূষণের মাত্রা কমানোর দাবিতে নাগরিক সভা।বায়ুদূষণের কারণে বছরে লক্ষাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে। এই ব্যাপারে রাষ্ট্র একদম নির্বিকার।পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ এ অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা ২.৫ (পিএম ২.৫) এর আদর্শমান প্রতি ঘনমিটারে ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে বাড়িয়ে ৩৫ মাইক্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটি ১০ মাইক্রোগ্রাম থেকে কমিয়ে ৫ মাইক্রোগ্রাম করেছে।নাগরিকদের প্রতি উদাসীনতা বর্তমান রাষ্ট্রের একটা চরিত্র। রাষ্ট্র একদিকে বলছে টেকসই উন্নয়নের কথা অন্যদিকে বায়ুর মানের ব্যাপারে তারা আপোস করছে।আমাদের দেশে বায়ু ও পরিবেশ নিয়ে প্রায় ২০০টির মতো আইন আছে।কিন্তু এগুলোর প্রয়োগ নেই। দূষণ কমানোর জন্য আদালত স্থাপন করা হয়েছে। গত ২০ বছরে বায়ুদূষণ নিয়ে যত মামলা হয়েছে, সেখানে একজনের মাত্র সাজা হয়েছে।মামলা যেগুলো হয়েছে সেগুলো বছরের পর বছর চলছে, বিচারক নেই। এই মামলাতে লোকজন ভয় পাচ্ছে না।সরকার তার দায় এড়াচ্ছে।নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আমরা অনেক পেছনে আছি।বাংলাদেশ সংবিধানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র বর্তমান এবং আগামী দিনের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ করবে। আমরা তা নিজেদের জন্য তো করতে পারছিই না বরং আগামী দিনের নাগরিকদের জন্যও পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছি।অনেক শিশু যারা আমাদের আগামী দিনের নাগরিক তারা শ্বাসকষ্টে ভুগছে বায়ুদূষণের কারণে।মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই গত (২৫ জানুয়ারি) ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করার জন্য।স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং এ মন্ত্রণালয়ের বর্ণিত চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ১০০ কর্মদিবসের এই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।দূষণ নিয়ন্ত্রণে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষিজমি রক্ষার্থে সরকারি নির্মাণে শতভাগ ব্যবহারে সংশোধিত রোডম্যাপ অনুমোদন করা হবে। বায়ুদূষণের প্রতিটি উৎস থেকে সৃষ্ট দূষণ মোকাবেলায় ন্যূনতম একটি করে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।বায়ুদূষণ রোধে দেশব্যাপী ন্যূনতম ৫০০ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ হালনাগাদকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।আমরা আশা করবো মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার্থে যে উদ্যোগগুলি নিয়েছেন এগুলোকে বাস্তবায়ন করলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে যাবে।উক্ত নাগরিক সভা পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন এর সভাপতিত্বে শুরুহয়।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির সম্মানিত উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নূর ইসলাম।সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির মহাসচিব মীযানুর রহামন, নদী খাল ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির মোঃ শফিক ঢালী, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম খোকন, মোঃ ফজলুল হক ভূইয়া, মোহাম্মদ আলী (আনিস), সভাপতি এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ এম,এ মহিন সরকার, হাফেজ মোল্লা, মোক্তার হোসেন, সুজন, সাংবাদিক মোঃ শাহজালাল, মিমরাজ হোসেন রাহুল, মোঃ রবিন মিয়া সহ প্রমুখ।