মোঃ কামরুল ইসলাম খান ফুলপুর প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় পুলিশের মিলন মেলা
পুলিশী পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে জীবন এবং জীবনাচারকে ভিন্ন আঙ্গিকে মানবিক এবং সাবলীলভাবে কথার বৃষ্টি ঝড়ানো পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত রায়হান স্যারের সান্নিধ্যে আসতে পেরে নিজের অকপট অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো।সিয়াম সাধনার মাস চলছে।এই মাসের প্রতিপাদ্য আল্লাহ কর্তৃক ঘোষিত।কথা কাজ,আচার আচরন, প্রাপ্তি, বিতরন, ভক্ষন, কাম, ক্রোধ, প্রার্থনা সবকিছুতেই সংযত হওয়ার শিক্ষা অনুশীলনের জন্য এটাই মোক্ষম মাস।জানিনা মাস শেষে কার ঝুলিতে কি জমা হবে।আশা করি সিয়াম সাধনার পবিত্র মাসটি শুধু উপবাসের উদাহরণ না হয়ে কার্যকর ও সৃষ্টিশীল কিছু অর্জিত হোক।সিয়াম সাধনার মাসের ব্যক্তি কেন্দ্রিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব হাদিস কোরআনে ব্যাপকভাবে ঘোষিত হয়েছে।বিশেষ করে পরিবার,সমাজ ও দাপ্তরিক পরিসরে ইফতারীর মাধ্যমে শান্তি,সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার অনেক নির্দেশনা মহাগ্রন্থ ও নবীজীর মুখ নিসৃত বানীতে বারংবার প্রকাশ পেয়েছে।সিয়াম সাধনায় সারাদিনের উপবাস শেষে ইফতারী লগ্নে মিলনমেলার আয়োজন নিঃসন্দেহে ধর্মীয়ভাবে অনেক গুরুত্ব বহন করে।প্রিয় মানুষ সহকারী পুলিশ সুপার ফুলপুর তারাকান্দা সার্কেল মোঃ আতাহারুল ইসলাম তালুকদার ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান ফুলপুর থানা এর নেতৃত্বে প্রিয় বন্ধু পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত )ও বহু দুর্গম পথ ও বিনিদ্র রজনী একসাথে পাড়ি দেয়ার সহযোদ্ধা এসআই সুমন স্যারসহ সকল অফিসার ও ফোর্সদের ব্যবস্থাপনায় সুন্দর একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন ফুলপুর থানাসহ জেলা পুলিশের গন্ডি পেরিয়ে পুলিশ বিভাগে সকলের হৃদয়ে অনেকদিনের আশা পুরোন এ-র অনন্য উদাহরন হয়ে থাকবে।আজকের আয়োজনে সমালোচনার জায়গাটা দুরুহ হলেও শুধুমাত্র প্রশংসা করে কখনো কাউকে বড় করা যায়না।যতটুকু সমালোচনা করছি ততটুকুর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।ইফতারীর প্লেটে প্রতিটি উপাদানের পরিমানটা কিছুটা কম হলেই মনে হয় ভালো হতো।কিছু ভূল আর কিছু বিভ্রান্তি মানুষকে সামনের দিনগুলোতে পরিশুদ্ধ করে দেয়।এমন সফল ও সার্থক আয়োজন ৩১ বছরের কর্মকালে পাইনি বাকী জীবনে ২য় বার পাবো কিনা বা হবে কিনা জানিনা।ইফতার মাহফিলে উপস্থিত পুলিশ সুপার থেকে কনষ্টেবল পর্যন্ত কারো মধ্যেই কাঁধের অলংকরণের দেয়ালটুকু কোন অহংকার ও পার্থক্য তৈরী করতে পারেনি।সকলেই এক হয়ে মিশে গিয়েছিলাম আল্লাহ প্রদত্ত এক রহমত ও বরকতময় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে।আমার মনে হয় এই জায়গাতেই সিয়াম সাধনার পরিপূর্ণ সাফল্য।সারাদিনের ক্লান্তি ভূলে ইফতার ও নামাজ শেষে হলরুমে বসে পুলিশ সুপার মহোদয় কর্তৃক সকলের কথা শুনে নিজের অনুভূতি ও নির্দেশনা প্রকাশের প্রক্রিয়াটা চোখে পড়ার মত।যখন যাবার সময় হয় তখন আবেগ অনুভূতি ভালোবাসা সবকিছুই মাটির পুতুলের মত।কবি গুরুর কথায় বলতেই হয় “অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার ফিরিয়া পাইবার মত বিড়ম্বনা আর নাই।”তাই এবার নিজের কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় ফিরে যাওয়ার অপেক্ষা।আজকের আয়োজনটি স্মৃতির আকাশে অনেকদিন রয়ে যাবে।এখানে সেখানে যেখানেই থাকিনা কেন টিম ফুলপুরের নতুন কোন আনন্দ আয়োজনে অংশগ্রহণের অপেক্ষায় থাকলাম।পরিশেষে আমি সকলের জন্য দোয়া ও শুভকামনা নিরন্তর।