নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার খাসকান্দি এলাকায় স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তারকে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়।এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে বুকের উপর নাচা- নাচি করে এবং গলার উপর পা দিয়ে চাপ দেয়।এই সময় বুকের পাজরের একটি হাড় ভেঙ্গে যায়।গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে অবলীলায় সব স্বীকার করেছে ঘাতক শাহজালাল।তার বক্তব্যে সাথে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যে আসা আঘাতে চিহ্ন এবং বুকের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার তথ্য মিলে যায়।এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মানুষরুপী এই পশুর নির্মমতা শুনে কোন মানুষই স্বাভাবিক থাকার কথা নয়।কিন্তু এই ঘাতক স্বামীর মধ্যে কোন রকম অনুসূচনা লক্ষ্য করা যায়নি।নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার গৃহবধূ জেসমিন আক্তারের স্বামী শাহজালালকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার যাত্রবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে তাকে।সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পরিবার পরিজন সব ছেড়ে দিয়ে বিয়ের করেছিল এই শাহজালালকে।বিয়ের দুই মাস না পেরুেতেই সেই স্বামীর হাতে প্রাণ হারান জিয়াসমিন আক্তার(২৫)।বুধবার সকালে রমজানবেগ থেকে এই গৃহবধুর ক্ষতবিক্ষত নিথর দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।স্থানীয়রা জানিয়েছেন অভিযুক্ত শাহজালাল প্রায় দুই মাস আগে জেসমিন আক্তারকে হঠাৎ বাড়িতে নিয়ে এসে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। নিহত ইয়াসমিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কুলিয়ার চরে।তার সাথে ফেসবুকে পরিচয়। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সংবাদকর্মীদের জানান,ময়নাতদন্ত শেষে বুধবারই ইসলাম ধর্মের বিধান মতে জিয়াসমিনকে দাফন করা হয়।বৃহস্পতিবার তার পিতা সন্তোষ চন্দ্র বিশ্বাসসহ পরিবারের লোকজন আসেন।ছবি দেখে মেয়েকে শনাক্ত করে গৃহবধুর পিতা বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।