কাউখালী ( পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দিরে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ে।এ ঘটনায় পিরোজপুরের কাউখালীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা রক্ষায় বুধবার রাতভর পাহারা দিয়েছে সচেতন নাগরিক, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মন্দির রক্ষার আহ্বানের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্দিরের সামনে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন তারা।এতে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা অভিভূত হয়েছেন।যদিও জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
মন্দির পাহারায় থাকা শিক্ষার্থীরা বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ যেন প্রতিহিংসার শিকার না হয়, সেজন্য রাত থেকেই ছাত্র, সচেতন নাগরিক ও ছাত্রদল কর্মীরা টিম করে উপজেলার মন্দিরগুলো পাহারা দিচ্ছি।মন্দির পাহারা দেওয়া কাউখালী উপজেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন বলেন, কাউখালী অসাম্প্রদায়িক উপজেলা।এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকি।হিন্দুরাও আমাদের ভাই-বোন।তাই তাদের নিরাপত্তা ও তাদেরকে অভয় দিতে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আমীরের নিদের্শনায় আমরা কয়েকটি টিম গঠন করে বিভিন্ন মন্দিরের সামনে অবস্থান নিয়েছি।
এ বিষয়ে কাউখালী বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির বলেন, ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার দ্বারা আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর পর স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের এই বিজয়কে একটি চক্র কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা আমাদের সংখ্যালঘু ভাই বোনদের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে হামলা করে জনতার বিজয়কে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে চক্রান্ত শুরু করেছে। আমরা তাদের চক্রান্ত কোনোভাবেই সফল হতে দিবো না। তাই আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের ঘোষণা যেকোনো মূল্যে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাই আমরা রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ পালন করতেই রাতজেগে আমাদের সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপসনালয়গুলো ও বাড়িঘর সহ সকল প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি। এ কার্যক্রম আমাদের চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ কাউখালী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপুল বরন ঘোষ বলেন, গত রাতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের কর্মী ও শিক্ষার্থীসহ এলাকার অনেক সাধারণ মানুষ উপজেলার সকল মন্দির ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা পাহারা দিয়েছেন।তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা রুখতে তাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।