1. multicare.net@gmail.com : আমাদের পিরোজপুর ২৪ :
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ি রাজমিস্ত্রির হাতুড়ির আঘাতে অরেক রাজমিস্ত্রির মৃত্যূ গজারিয়ায় বীমায় জমাকৃত টাকার জন্য গ্রাহকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ পল্লী বিদ্যুতের তারে স্বপ্ন পুড়ে ছাই খামারি আলিমের মুন্সীগঞ্জের নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি গোপালগঞ্জের আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ফুলপুরে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জাতীয় পার্টির আলোচনা সভা ছাত্র আন্দোলনে নিহত রুবেলের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জামাল মুন্সীগঞ্জে কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কল্যান সমিতির কমিটি গঠন মঠবাড়িয়া বিএনপির আহবায়ক রুহুল আমিন দুলালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

শাহরাস্তিতে বন্যায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় গত ১০ দিনের বন্যার পানিতে সাড়ে ৪ হাজার কৃষকের ৩৪১ হেক্টর জমির রোপা আউশসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোপা আমনের বীজতলা। লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হতে পারে আমন আবাদের ক্ষেত্রে। এতে কৃষকদের ৬ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতির আশঙ্কা জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।গত কয়েকদিন শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর, সূচিপাড়া দক্ষিণ, রায়শ্রী উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন এবং আশপাশের এলাকা ঘুরে ক্ষতির সম্মুখিন ফসলের জমিগুলো চোখে পড়ে। এসব এলাকায় বড় বড় মাঠ জুড়ে রয়েছে রোপা আউশ। তবে অধিকাংশই পানির নীচে তলিয়ে।উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানাগেছে, বন্যায় উপজেলার ১২৯ হেক্টর জমির রোপা আউশ, বীজতলা ২০ হেক্টর, আবাদকৃত আমন ১৩৩ হেক্টর ও শাক সব্জি ৫৯ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৪ হাজার ৩৪১ জন।শাহরাস্তি রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা উনকিলা গ্রামের এক কৃষক জানান, আমার ১ একর জমিতে আউশের আবাদ আছে। ধান কর্তনের সময় হয়েছে। কিন্তু এখন সবই শেষ। বসতঘর ও রাস্তায় পানি। আমাদের এই ক্ষতির কি হবে বলতে পারছি না।একই এলাকার আরেক কৃষক বলেন, এবছর তিনিও ১ একেরর অধিক জমিতে রোপা আউশ আবাদ করেছেন। তার জমিগুলোও এখন পানিতে তলিয়ে। গাছের চিহ্নও দেখা যায় না। ঋণ করে টাকা নিয়ে জমিতে বিনিয়োগ করেছেন। এখন তিনি অনেকটা দিশেহারা।শহীদ নামে আরেক কৃষক বলেন, ১৯৮৮ ও ২০০৪ সালে বন্যা হয়েছে,কিন্তু এ ধরণের হয়নি। এবারের বন্যায় আমাদের ফসলসহ সব ধরণের ক্ষতি হয়েছে। বসতঘর, রাস্তা ও ফসল সবকিছু শেষ। বহু কৃষকের ধান পচেগেছে। অনেকেই পানির নীচ থেকে ধান কেটেছেন। কিন্তু ধান খুবই কম। সব মাটিতে পড়েগেছে।সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের দইকামতা গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তাদের এলাকার সব ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে আছে গত ১০দিন। পানির উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট। ফসলের এই ধরণের ক্ষতি গত এক দশকেও হয়নি। আউশ কেউ কাটতে পারেনি। আমনের বীজতলা পানির নীচে। শাকসবজি কিছু অবশিষ্ট নেই। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন এলাকার কৃষক।শাহরাস্তি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়শা আক্তার বলেন, গত প্রায় ১০ দিনে উপজেলার বন্যা কবলিত ইউনিয়নের মাঠ জরিপে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৪ হাজার কৃষকের তথ্য পেয়েছি। রোপা আউশসহ বিভিন্ন ফসলে ৬ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রাথমিক ক্ষতির আশঙ্কা করছি। আমরা এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাব। একই সাথে তাদেরকে আগামীতে প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓