বিশেষ প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের একদল স্বেচ্ছাসেবী লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় কাজ করছে। তারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অর্থ ও অন্যান্য সামগ্রী সহায়তা সংগ্রহ করে রামগতি উপজেলার ২৫০টি পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী, কাপড়, এবং নগদ অর্থ সহায়তা পাঠিয়েছে।উপহার সামগ্রীর প্যাকেটে রয়েছে চাল, ডাল, লবণ, সয়াবিন তেল, সুজি, আলু, চিনি, মোমবাতি, স্যালাইন, চকলেট, টুথপেস্ট, লাইটার, সাবান, গ্যাস্ট্রিক ও পেট খারাপের ওষুধ, প্যারাসিটামল, স্যানিটারি প্যাড, মুড়ি, টোস্ট, এবং বিশুদ্ধ পানিসহ শিশুদের জন্য বিশেষ খাবার, কাপড় ও ওষুধ।স্বেচ্ছাসেবী দলটি ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুরে পৌঁছেছে এবং শনি ও রোববার দু’দিনব্যাপী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ফোরামের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।মঠবাড়ীয়া সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের এই উদ্যোগকে সমন্বয় করেছেন ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক তানভীর হাফিজ, ঠিকাদার ও সামাজিক উদ্যোক্তা আরাফাত হোসেন মিরাজ, এডভোকেট তারিকুল রুবেল, ফিল্ম মেকার প্রিন্স মাহমুদ, এবং শেরে বাংলা সাধারণ পাঠাগারের সম্পাদক কবি মেহেদী হাসান।
সমন্বয়করা জানান, “দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের এই প্রয়াস। আমরা বিশ্বাস করি, মানুষের পাশে মানুষ থাকলেই একটি সুন্দর দেশ গড়ে উঠবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো বিপদেই আমরা হারবো না। উপজেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল কাইয়ূমের পূর্ণ সম্মতিক্রমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, এবং তিনি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদৌস ইসলামও আমাদের সহযোগিতা করেছেন। এই কার্যক্রমটি সফল করতে যে সকল স্বেচ্ছাসেবী ভাই ও বোনেরা তাদের স্বেচ্ছাশ্রম ও মেধা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, আমরা তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।উপজেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, “মঠবাড়ীয়া স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের এই উদ্যোগ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে একত্রিত করেছে। বানভাসীদের পাশে দাঁড়ানোর তাদের এই অবদান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে এই ধরনের উদ্যোগ মানবিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”