নিজস্ব প্রতিবেদক :
মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে কুখ্যাত ডাকাত কানা জহির বাহিনীর সদস্যদের ছোড়া গুলিতে রাসেল ফকির (৩৩) ও রিফাত খান(২৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই বন্ধু মারা যান।নিহত রাসেল ফকির মুন্সীগঞ্জের ভাসানচর দক্ষিণ কান্দী গ্রামের কামাল ফকিরের ছেলে অপরজন রিফাত খান চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার পশ্চিম হানিফার গ্রামের আক্তার হোসেন খানের ছেলে।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল হক।এর আগে গেল মঙ্গলবার রাত ১২টার পর রাসেল ফকিরের মা আনোয়ারা বেগম ১০জনের নাম অন্তভূক্ত করে অজ্ঞাতনামা আরও ১২ থেকে ১৩ জনকে আসামি করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় মামলাটি করেন।স্থানীয় সূত্র জানান,গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কালিরচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরার জন্য বের হয় দুই বন্ধু রাসেল ফকির ও রিফাত খান। নদীতে দুই বন্ধু মাছ ধরার সময় ঘন কুয়াশার মধ্যে কয়েকটি ইঞ্জিন চালিত বোট ও স্পীডবোট থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে কুখ্যাত ডাকাত কানা জহির বাহিনীর সদস্যেরা। তাদের ছুঁড়া গুলিতে রাসেল ফকির ও রিফাত খান গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাসেল ও রিফাত কে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাসেল ও রিফাত মারা যান।তারা আরো জানান, কানা জহির একসময় বাবলা ডাকাতসহ কয়েকটি ছোট-বড় ডাকাত গ্রুপের হয়ে কাজ করত। পরে জহির ও তার ভাই শাহিন নিজেরাই তৈরি করে একটি সশস্ত্র ডাকাত দল, যার নাম হয় কানা বাহিনী। চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ডাকাতির বখরা আদায় করা তাদের মূল কাজ। কানা জহির বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। চরাঞ্চল দুর্গম হওয়ার সুযোগে এসব এলাকা এখন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।নিহত রাসেল ফকিরের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।এবিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল হক বলেন, সীমানা জটিলতার কারণে দেরি হয়েছে। সীমানা নির্ধারণের পর আমরা মামলা নিয়েছি। কুখ্যাত ডাকাত কানা জহিরের বিরুদ্ধে হত্যাসহ তার দুই ডজন মামলা রয়েছে। তাকে ও তার বাহিনীর সদস্যেদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।