নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা সাত বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে জোর পূর্বক বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক(নূরানী বিভাগ)কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।অভিযোগে আটক ঐ মাদ্রাসা শিক্ষক এর নাম মোঃ নোমান আহাম্মেদ(২১),সে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার মুছাগাড়া গ্রামের মো: শাহজাহান মিয়ার ছেলে।জানা যায়,৭ বছর বয়সী ঐ শিশু উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়ন এর চর বাউশিয়াস্থ গজারিয়া কলিম উল্লাহ মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।বাবা মো:হাসেন আলী স্থানীয় একটা ফ্যাক্টরীতে চাকুরীর সুবাদে স্থানীয় চর বাউশিয়া(পশ্চিম কান্দী)গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।তাদের স্থায়ী বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার বেড়া ডাকুরী গ্রামে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়,রবিবার(১৪সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ঘটিকায় মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।ইতিমধ্যে সে ভুক্তভোগী ঐ শিশুকে জোর পূর্বক একাধিক বার বলাৎকার এর কথা স্বীকার করেছে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর বাবা হাসেন আলী জানান, আজ সকালে বাচ্চাটা যখন মাদ্রাসা যেতে চাচ্ছে না তখন তাঁকে কারণ জিজ্ঞাসা করলে জানায়, গতকাল শনিবার(১৪সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ঘটিকায় মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী যখন খেলার মাঠে ব্যস্ত,তখন ঐ শিক্ষক আমার ছেলেকে মাদ্রাসার বাথরুমে নিয়ে বলাৎকার করতে চাইলে সে চিৎকার,চেচামেচি করে তখন তাকে ছেড়ে দেয়, এর পূর্বেও দুই বার বলাৎকার করেছে তাই আর মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছে না,আমি এই নরপিশাচের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। এ বিষয়ে গজারিয়া কলিম উল্লাহ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস ফারুকী বলেন, এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক,ঐ কুলাঙ্গার শিক্ষককের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।বিষয়টা নিয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো:শহিদুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক ও ভিকটিককে উদ্ধার করা হয়েছে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক অঅভিযুক্তকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে