
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সীগঞ্জে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছেন যৌথ বাহিনী। এ সময় প্রচুর পরিমান অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।সদর উপজেলার পূর্ব শীলমন্দি এলাকায় সুমল লাল নামের এক ব্যক্তির গোডাউন ঘরে অভিযান চালিয়ে এ সমস্ত সরঞ্জাম উদ্ধার করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।সোমবার (১০ নভেম্বর) গভীর রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর টহল দল এবং পুলিশের একটি টহল দলের সমন্বয়ে পরিচালিত এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আর্মি ক্যাম্প জানতে পারে, পূর্ব শীলমন্দি এলাকার সুমল লালের গোডাউন ঘরে কিছু অপরিচিত ব্যক্তির সন্দেহজনক আনাগোনা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।তল্লাশিকালে গোডাউন ঘরটি থেকে অবৈধ দেশীয় অস্ত্র তৈরির ৩টি সীসা কার্তুজ, ৫টি লোহার বাট, ৭টি লোহার ব্যারেল, ৭টি রিকয়েল স্প্রিং, ১টি ওয়েল্ডিং মেশিন, ১টি ড্রিল মেশিন, ৬টি লোহার বোল্ট, লোহার তৈরি লেদ মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।জানাগেছে, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বিশেষ করে চর সংলগ্ন অঞ্চলসমূহে স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে প্রায় সময়ই অবৈধ অস্ত্র ও ককটেল জাতীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যৌথবাহিনীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ধার হওয়া এই কারখানা থেকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে সংঘটিত সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্রের সরবরাহও এই স্থান হতে করা হয়েছিল গত ৩ ও ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে সদর উপজেলার চর ডুমুরিয়া, সোলার চর এবং নয়াকান্দি এলাকায় স্থানীয় আধিপত্যের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময় ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় তুহিন দেওয়ান (২২) ও আরিফ মীর (৩৭) নামের দুজন ব্যক্তি নিহত হন।উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদি পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, অস্ত্র আমার কাছে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।