
নাসিম উদ্দীন স্টাফ রিপোর্টা:
ভেড়ামারা থানা এজাহার দায়ের করেন মোঃ আকমল হোসেন তার একটাই দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু বিচারে আওতায় আনা হোক এবং সেই সাথে নিজের জান ও সম্পদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ, ভেড়ামারা থানা, কুষ্টিয়া।
বিষয়: এজাহার দায়ের প্রসঙ্গে।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ আকমল হোসেন (৬৫), জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৮৬৫৫৮৩৮৬৩২, পিতা-মৃত ইলাহি বক্স, সাং-হিড়িমদিয়া (দক্ষিণপাড়া), ইউপি-চাঁদগ্রাম, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া অত্র থানায় হাজির হয়ে আসামী-০১। হাফিজুল (৪২), ০২। মোঃ সহিবুল (৩২), উভয় পিতা-মোঃ মুল্লুক, ০৩। মোঃ কুদ্দুস (৫০), পিতা-মৃত তৈয়জ উদ্দিন, ০৪। মোঃ আমিরুল (৪৫), পিতা-মৃত রজব আলী, ০৫। মোঃ মিজান (৪৬), ০৬। মোঃ উজান (৫০), ০৭। মোঃ খলিল (৫৫), সর্বপিতা-মৃত ওসমান মন্ডল, ০৮। মোঃ কালাম (৪৭), পিতা-মৃত ইমান মন্ডল, ০৯। মোঃ জসিম (৩৫), ১০। মোঃ রাফিজ (২৫), উভয় পিতা-মোঃ জলিল, ১১। মোঃ কাউসার (২০), পিতা-মোঃ কালাম, ১২। রহমান (২৫), পিতা-খলিল, ১৩। মোঃ নাজমুল (৩৫), পিতা-মৃত সফি, ১৪। মোঃ সাদ্দাম (৩৬), পিতা-মোঃ মিনারুল, সর্বসাং-হিড়িমদিয়া (দক্ষিণপাড়া), ইউপি-চাঁদগ্রাম, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়াগণ সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন আসামীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে লিখিতভাবে এজাহার দায়ের করছি যে, উক্ত আসামীদের সহিত আমাদের জমি-জমা সংক্রান্তে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ইং-১০/১২/২০২৫ তারিখে জমি-জমা সংক্রান্তে উক্ত আসামীদের সাথে আমাদের একটি সালিশে উভয়য়ের মধ্যে সমাধান হওয়ার কথা ছিলো। সালিশটি সম্পূর্ণ না হওয়াতে সবাই নিজ বাড়িতে ফিরে আসি। পূর্ব শত্রুতার জের ইং-১০/১২/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকার সময় ভেড়ামারা থানাধীন চাঁদগ্রাম ইউপি এর হিড়িমদিয়া গ্রামস্থ আমার বাড়িতে আমি থাকাকালিন সময়ে উক্ত ৩নং ও ৪নং আসামীদের পরস্পর যোগসাজেস ও নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা তাদের হাতে থাকা ধারালো রামদা, হাসুয়া, লোহার পাইপ, লোহার রড, হাতুড়ি, হকিস্টিক, কাঠের বাটাম ও লাঠি-সোঠা নিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় এসে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ প্রদান করতঃ হুমকি-ধামকি দেওয়া শুরু করে। আমি এগিয়ে গিয়ে উক্ত আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ৩নং ও ৪নং আসামীদ্বয় আমাকে মেরে ফেলার হুকুম দিলে, ১নং আসামীর হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় কপালের উপরে কোপ দিয়ে গুরুতর কাঁটা রক্তাক্ত জখম করে। পাশে থাকা ২নং আসামীর হাতে থাকা লোহার পাইপ, ৬নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড ও ৯নং আসামীর হাতে থাকা লোহার হাতুড়ি দিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে আমার ডান হাতের বাহুতে, পিঠে সহ দুই পায়ের দাবনায় নিলাফোলা জখম করে। ১২নং আসামীর হাতে থাকা হকিস্টিক, ১৩নং ও ১৪নং আসামীদ্বয়ের হাতে থাকা কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে আমার বুকে, বাম পায়ে, হাঁটুর নিচে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনাদায়ক কালশিরা জখম করে। ৩নং ও ৪নং আসামীদের হুকুমে ৫,৭,৮,১০ ও ১১নং আসামীরা সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন আসামীরা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমার বড় ভাই ৫নং সাক্ষী মোঃ ফরিদ (৬৭) এর বসতবাড়িতে ভাংচুর শুরু করে। আসামীদের ভাংচুরে ভাইয়ের বাড়ির দরজা, জানালা, সহ অন্যান্য সকল কিছু ভেঙ্গে নষ্ট করে। যার ক্ষতির পরিমান ২৭,০০০/= (সাতাশ হাজার) টাকা। উক্ত আসামীরা আমাদের বাড়িঘর লুটপাটের চেষ্টাকালে আমাদের ডাক চিৎকারে আসা সাক্ষী-১। মোঃ সোহরাব উদ্দিন (৫৮), পিতা-মৃত রমজান, ২। মোঃ রোরহান (৩৫), পিতা-মোঃ সোহরাব উদ্দিন, ০৩। মোঃ ইব্রাহিম (৫১), পিতা-মৃত তসলিম সর্দার, ৪। মোঃ বাবু (৩০), পিতা-মোঃ খেদু সর্দার, ০৫। মোঃ ফরিদ মন্ডল (৬০), পিতা-মৃত এলাহী বক্স, সর্বসাং-হিড়িমদিয়া(দক্ষিণপাড়া), ইউপি-চাঁদগ্রাম, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়ারা সহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে উক্ত আসামীরা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দেখিয়ে প্রকাশে আমাদের খুন জখমের হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। সাক্ষী ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে দ্রুত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে দেখেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা শেষে আমি কিছুটা সুস্থ্য হই। উক্ত আসামীরা আমাদের প্রাণে-মেরে ফেলা সহ নানা প্রকারের হুমকি-ধামকি দেয়া অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ-আলোচনা করে থানায় ঘটনার বিষয়ে লিখিতভাবে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হলো।
অতএব, উপর্যুক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জনাবের একান্ত মর্জি হয়।
নিবেদক
মোঃ আকমল হোসেন