মোঃ কামরুল ইসলাম খান ফুলপুর প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সাদেক মন্ডল (৫৫) নামে শ্রমিকলীগের নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত পরিবারের দাবি জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ঘরের পাশে হত্যা করে গাছে লাশ ঝুলানো হয়েছে।জানা গেছে, মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।সাদেক মন্ডল উপজেলার কাকনি গ্রামের আরজ আলী মন্ডলের ছেলে।সাদেক মন্ডল কাকনী ইউনিয়নের শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে আর বাসায় ফিরেনি।সকালে উঠে তার ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পায় পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী।নিহতের ছেলে মাহমুদুল হাসান বলেন, আমার বাবা আত্মহত্যা করেনি পরিকল্পিতভাবে আমার চাচা আনোয়ার হোসেন গংরা হত্যা করে গাছের ঢালে ঝুলিয়েছে।তিনি আরও জানান,দীর্ঘদিন জমি জমার সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ করেন।এ বিষয়ে কাকনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আঃ খালেক বলেন, সাদেকুল ইসলামের পিতা আরজ আলী একজন ধনী কৃষক এবং ৬ সন্তানের জনক। সাদেকুলের বড়ভাই আনোয়ার ও মুসা মিয়া তাদের পিতা আরজ আলীর কাছ থেকে কৌশলে একশত পাঁচ কাঠা জমি লিখে নেয়।সাদেকুল ইসলাম অপরাপর চার ভাইকে সাথে নিয়ে এর বিরোধিতা করে।বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস করেও আনোয়ার ও মুসা মিয়ার অসহযোগীতার কারণে বিষয়টি মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি।এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়াজেদ আলী জানান, ইতিমধ্যে আমরা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি, আটককৃতরা হলো, আনোয়ার হোসেন মন্ডল (৪৫) পিতা আরজ আলী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২৮), পিতা দেলোয়ার হোসেন, আজাদ সজল (২১) পিতা দেলোয়ার হোসেন।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে পারিবারিকভাবে যেহেতু হত্যার দাবি করা হচ্ছে তাই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি আমরা।তারাকান্দা উপজেলা শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।